নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শুক্রবার,

২৯ মার্চ ২০২৪

ফেঁসে যাচ্ছেন নাসিক কাউন্সিলর মনির (ভিডিও)

নারায়ণগঞ্জ টাইমস:

প্রকাশিত:০২:০১, ২৩ মে ২০২২

নারায়ণগঞ্জ শহরের জিউসপুকুর পাড় শনিমন্দির এলাকায় মায়ের সামনে থেকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে রাতভর নির্মমভাবে নির্যাতনের শিকার শুভ্রত মন্ডল (১৮) মারা গেছে। কিন্তু মারা যাওয়ার আগে হাসপাতাল বেডে শুয়ে কারা এবং কেন তাকে নির্যাতন করেছে তার বিস্তারিত ভিডিও চিত্রে বলে গেছেন।

 

সেখানে তিনি বলেছেন নাসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনিরের পক্ষে কাজ না করায় তাকে নির্যাতন করা হয়েছে। এছাড়াও নির্যাতন মিশনে অংশগ্রহনকারীদেরও নাম বলেছেন। তারা হলো-ইয়াবা সায়েম, সাজিত, নাঈমুদ্দিন সাজু, দোলন, রাকেশ, ড্যান্ডি আল আমিন, শুভ, ভোটকা শুভ, নিরব, প্রণয়, নোমান সিকদার, অন্ত সাহা ও নাপতা প্রিতম।

 


ভিডিও চিত্রে শুভ্রত মন্ডল বলেছে নাসিক নির্বাচনে ১৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মনির হোসেনের পক্ষে তাকে কাজ করতে বলেছিল সায়েম গংরা। কিন্তু সে বলেছে করোনার সময় শফিউদ্দিন আমাদের সাহায্য করেছে। আমি তার নির্বাচন করবো। এটা তারা মনের ভেতর রেখে দেয়। নির্বাচনে শফিউদ্দিন পরাজিত হয়। মনির হোসেন বিজয়ী হয়। প্রতিশোধ নিতে ইয়াবা সায়েম, সাজিত, নাঈমুদ্দিন সাজু, দোলন, রাকেশ, ড্যান্ডি আল আমিন, শুভ, ভোটকা শুভ, নিরভ, প্রণয়, নোমান সিকদার, অন্ত সাহা ও নাপতা প্রিতমসহ ১৫-২০ জন আমাকে নির্যাতন করেছে।


নিহতের মা গৌরী মন্ডল, বোন লিপি মন্ডল ও শম্পা মন্ডল আহাজারি করে বলেন, কাউন্সিলর মনিরের লোকজন শুভ্রতকে হত্যা করিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।


তবে নাসিক কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির জানান, তার কোন বাহিনী নাই। যারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে আমি তাদের বিচার চাই। মনিরুজ্জামান মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য ও ১৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি।

অপরদিকে  সাবেক কাউন্সিলর শফি উদ্দিন প্রধান জানান, শুভ্রত মন্ডল আমার নির্বাচনে কাজ করেছে কি না তা আমি জানি না। তবে করোনার সময় আমি তাকে সাহায্য করেছি। আমি এই হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করছি।


নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আনিচুর রহমান জানান, এই ঘটনায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন :নির্মম নির্যাতনের শিকার সেই শুভ্রত মারা গেছে,

প্রসঙ্গত ১৫ মে রাতে শুভ্রতমন্ডলকে তার মায়ের সামনে থেকে ইয়াবা সায়েম গংরা তুলে নিয়ে যায়। পরে পশ্চিম দেওভোগ ইউসূফ মিয়ার বাড়ীর সামনের রাস্তায় ফেলে ১৫ থেকে ২০ জন তার উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে মৃত ভেতে তাকে বাড়ির সামনে ফেলে যায় সন্ত্রাসীরা।

সম্পর্কিত বিষয়: