সস্তাপুর এলাকার গার্মেন্টস কর্মী আলাল মিয়ার পাঁচ সদস্যর বসবাস। ৪ বছরের ছোট শিশু কন্যাটি প্লেতে পড়ে। ৭ বছরের ছেলে ফাহিম তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্র। অভাব অনটনের কারনে ১৪ বছরের পুএ সন্তান নাদিম একটি হোসিয়ারিতে চার হাজার টাকা বেতনে কাজ করেন।
আর আলাল মিয়া চাকুরি করে দশ হাজার টাকা মাইনে এবলুম এ্যাপারেলসে। এই দুই উপার্জন ব্যক্তির মধ্যে তিন মাস ধরে চাকুরি নেই ছেলে ফাহিমের। এখন পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনি নিজেই। তার এই সামান্য আয়ে চলছে কোন রকম সংসার।
এ অবস্থায় যেভাবে নিত্যপন্যে জিনিসের দাম বাড়ছে তাতে সংসার চালাবে কিভাবে তা নিয়ে রীতিমত আতঙ্কে আছে পরিবারটি। আলালের মতো স্বল্প আয়ের মানুষের এখন এমনই করুন অবস্হা।
এরই মধ্যে খুচরা ও পাইকারি বাজারে চাউল, তেলের দাম দেদার্সে বেড়েই চলেছে। বেড়েছে শাকসবজির দাম। কমতি নেই মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের দাম।
এরই মধ্যে শহরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার ঘুরে দেখাগেছে, গত সপ্তাহ থেকে চলতি সপ্তাহে চাউলের দাম প্রতি কেজি দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে। বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে ভোজ্য তেলের।
সরজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, বাজারে বাসমতি চাউল কেজি ৬৮ টাকা। মিনিকেট চাউল প্রতি কেজি ৬৫ টাকা নাজির শাইল প্রতি কেজি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি জাতের চাউল প্রতি কেজি ৫৪ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও পোটল ৫০ টাকা, ডেরশ ৪০ টাকা, কহি ৩০ টাকা,লতি ৪০ টাকা, পেপে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এদিকে কাঁচা মরিচের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে বেশী।
কাঁচা মরিচ এক কেজি ৪০ টাকা বিক্রি হলে ও এ সপ্তাহে ৬০ টাকা। এছাড়াও গাজর ৫০ টাকা,পুইশাক ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সব মিলিয়ে আজ কাচা বাজার গুলোতে ঘুরে দেখাগেছে বেশীর ভাগ সবজির প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দিগু বাজারের আড়ৎদার আলাউদ্দিন জানান, বাজারে পেয়াজের দাম তেমন একটা বাড়ে নাই। বাজারে দেশী পেয়াজের দাম প্রতি কেজি ৪৫ টাকা। তবে আমদানি করা পেয়াজ মানবেধে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা। আলু এক পাল্লা ৮৫-৯০ টাকা।
এদিকে প্যাকেটজাত ও খোলা ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে। পেকেট তেল এক কেজি ১৪০ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ১৩০ টাকা ও পাম সুপার ১২৫ টাকা ধরে বিক্রি করতে দেখাযায়।
কালিবাজারের এক ক্রেতা জানান, সবজিসহ কিছু কিছু জিনিসের দাম কম থাকলে ও চাউল ও তেলের দাম নাগালের বাহিরে তাই নিত্য পন্যর দাম মানুষের হাতের নাগালে আনার জন্য সরকারের কিছু করা উচিত।
