নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শনিবার,

২০ এপ্রিল ২০২৪

জালিয়াতির মামলায় ভেন্ডার গিয়াস রিমান্ডে

নারায়ণগঞ্জ টাইমস:

প্রকাশিত:০০:৪৪, ১৭ মে ২০২২

জালিয়াতির মামলায় ভেন্ডার গিয়াস রিমান্ডে

জালিয়াতির মাধ্যমে জাল দলিল তৈরি করে সাড়ে ১৪ একর জমি বিক্রির অপরাধে দায়ের করা মামলায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির (জাপা) আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ওরফে ভেন্ডারের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

 

সোমবার (১৬ মে) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলমের আদালতে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত শুনানী শেষে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

এর আগে, বুধবার (১১ মে) বন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ।

 

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, আদালতে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত এক দিনের মঞ্জুর করেন। এর আগে, আদালতে বাদীপক্ষের আইনজীবী বক্তব্য রাখার সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বাধা দেন। তখন বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হয় উভয় পক্ষের মধ্যে।

 

মামলার বাদি মো. আজিজুর রহমান মিঠু জানান, মহানগর জাতীয় পার্টির আহŸায়ক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী তাদের পারিবারিক দলিল লেখক। এ সুযোগে গিয়াস উদ্দিন তাদের সব বিশ্বাস ভঙ্গ করে সই জাল করে জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ দলিল তৈরি করে সেটিকে আসল  হিসেবে ব্যবহার করেছে। ঘটনাটি জানতে পেরে তিনি গিয়াস উদ্দিনের কাছে জানতে চান কেন তিনি এ কাজ করেছেন। এজন্য গিয়াস তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।

 

পরে তিনি ৮ মে নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিটিশন (নং ১৩৩) দায়ের করেন। আদালতের বিচারক জাল দলিল তৈরির অভিযোগটিকে গুরুতর উলে­খ করে অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি রেকর্ড করতে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশের আলোকে ১০ মে রাতে সদর মডেল থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। পরে বুধবার (১১ মে) তাকে বন্দর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন :নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাপা নেতা সেই ভেন্ডার গিয়াস গ্রেপ্তার

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শহীদনগর এলাকার ম খন্ডের ছায়াকুঞ্জ নামের সাড়ে ১৪ একর প্লটের জমির জাল দলিল তৈরি করে মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ওরফে গিয়াস ভেন্ডার। পরে সেই জমি বিক্রি করার কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন। তার বিরুদ্ধে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে ৬ কোটি টাকা আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে।
 

সম্পর্কিত বিষয়: