নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম নুর হোসেন ওরফে হৃদয় (৩৬)। ফতুল্লার কুতুবপুরের পশ্চিম শেয়ারচর এলাকায় থেকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় পল্টন মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বাবার নাম মো: হোসেন।
শনিবার (১১ জুন) মেট্টো পলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরআগে শুক্রবার (১০ জুন) ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করে নুর হোসেন ওরফে হৃদয়কে মেট্টো পলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে করে পুলিশ। রিমান্ড আবদনে পুলিশ উল্লেখ করেন, গ্রেপ্তারকৃত হৃদয় মামুন মাহমুদকে ছুরিকাঘাতের ঘটনাস্থলে থেকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামী জুয়েল মীর ওরফে পাগলা জুয়েল, দিদার আলম সিদ্দিকী ওরফে সাগর সিদ্দিকী এবং পলাতক আসামী রিফাত ও অন্যান্য আসামীদের যোগসাজসে ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করে। তার সাথে থাকা ব্যক্তিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ এবং এই ঘটনার মূল উদ্দেশ্য উদঘাটনের জন্য আসামীকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। শুনানী শেষ আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঘটনার পর জনতার হাতে আটক জুয়েল মীর ওরফে পগলা মীর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে সে বিএনপির একজন কর্মী। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল। সেখানে তার সঙ্গে হৃদয় নামে নারায়ণগঞ্জের এক বড় ভাইয়ের পরিচয় হয়। একদিন হৃদয় জুয়েলকে জানায় একজনকে মারতে হবে। তাই কিছু লোক ঠিক করে দিতে হবে। ওই সময় জুয়েল নিজেই কাজটি করতে চায়। ঘটনার আগের দিন হৃদয় ও রিফাত ঢাকা গিয়ে মামুন মাহমুদকে হত্যা করতে জুয়েলকে নির্দেশ দেয়। জুয়েল মামুন মাহমুদকে চেনে না জানালে হৃদয় ও রিফাত জানায় সাগর সিদ্দিকী তাকে মামুনের অফিস ও ছবি দেখিয়ে দেবে। পরে তাকে মামুন মাহমুদের অফিস ও ছবি দেখিয়ে দেয় সাগর সিদ্দিকী। এরপর ১১ এপ্রিল রাত পৌনে ৮টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনের দারুস সালাম টাওয়ারের সপ্তম তলার নিজ অফিস থেকে নামে আসলে রাস্তায় তাকে জুয়েল মীরসহ অন্যান্যরা হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত করে। ঘটনার পর স্থানীয়রা ধাওয়া করে পল্টন জামে মসজিদের সামনে থেকে হামলাকারী জুয়েল মীরকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার এস আই জাহিদুল ইসলাম জানান, জুয়েল মীরের দেয়া তথ্যমতে ফতুল্লার কুতুবপুরের পশ্চিম শেয়ারচর এলাকা থেকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় নুর হোসেন ওরফে হৃদয়(৩৬)কে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ মামলাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছে। গ্রেপ্তারকৃত নুর হোসেন ওরফে হৃদয়কে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আরও পড়ুন :মামুন মাহমুদকে হত্যার চেষ্টা: পরিকল্পনায় গিয়াসের ছোট ছেলে রিফাত