নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শুক্রবার,

২৯ মার্চ ২০২৪

পুলিশের সামনেই সাংবাদিকদের হুমকি দেয় আসামিরা

সেই চেয়ারম্যান পূত্রের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, ৭ আসামি কারাগারে

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০৫:২৯, ৮ জুলাই ২০২২

সেই চেয়ারম্যান পূত্রের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, ৭ আসামি কারাগারে

বন্দরে ৩০ লাখ টাকার চাঁদার দাবিতে ইউপি সদস্যকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের মামলায় ১০ জন আসামির মধ্যে ৭ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত।

 

এ মামলার প্রধান আসামি মুছাপুর ইউপির চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের পূত্র মাহমুদুল হাসান শুভ সহ তিনজন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। 


বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ময়াজিষ্ট্রেট সামসুর রহমানের আদালতে বাদী বিবাদীর আইনজীবির শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।


নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পরিদর্শক মো. আসাদ মিয়া জানান, বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউপির ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য হাজী সফুরউদ্দিনকে চলতি বছরের ১৩ মার্চ চাঁদার দাবিতে তুলে টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতন চালায় সন্ত্রাসীরা। 


এ ঘটনায় পাশ্ববর্তী মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ, আমিনুল, হানিফা, বেনসন সোবাহান, রানা, জরিপ, খায়রুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, অন্তর ও নাদিম সহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানা একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং ২২(৩)২০২২। ধারা ৩২৩/৩৬৫/৪৬৭/৩৪২/৩৮৫/৫০৬।


এ মামলায় ১০ বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশ। আসামিরা চার্জশিট পর্যন্ত জামিনে থাকলেও বৃহস্পতিবার ছিলো এ মামলার ধার্য্য তারিখ। 


বৃহস্পতিবার সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামসুর রহমানের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করেন। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে উপস্থিত ৭ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 


কারাগারে প্রেরিত ৭ আসামির নাম আমিনুল, জরিপ, হানিফা, বেনসন সোবহান, খায়রুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম ও নাদিম। 


এসময় আদালতে অনুুপস্থিত থাকায় মামলার প্রধান আসামি চেয়ারম্যান পূত্র মাহমুদুল হাসান শুভ, তার চাচাতো ভাই অন্তর ও মামা রানা’র বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।


এদিকে, আটকদের প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে প্রেরণের সময় ছবি তুলতে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতেই আসামীরা সাংবাদিককে আক্রমণ করার জন্য তেড়ে আসে। 

 

উচ্চস্বরে বলতে থাকতে ‘ছবি তুলে কি করবি, একবার বের হয়ে আসি তোদের খবর আছে’ বলে হুমকিও দেয় তারা। আমারে বেশি দিন আটকাইতে পারবো না।