নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শনিবার,

২০ এপ্রিল ২০২৪

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়নগঞ্জ জেলার আলোচনা সভা

‘স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা’  

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০৪:৫০, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১

‘স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা’  

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়নগঞ্জ জেলার উদ্যেগে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা’-র্শীষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় ২ নং রেল গেইট বাসদ কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 


সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মুন্নি সরদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক নিখিল দাস, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শোভন রহমান, কেন্দ্রীয় স্কুল বিষয়ক সম্পাদক সুলতানা আক্তার, সমাজতান্ত্রিক  ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ সভাপতি রিনা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রাতুল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক নাছিমা আক্তার, দপ্তর সম্পাদক শিহাব মৃধা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।


এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুবর্ণ জয়ন্তী আমরা পার করছি। শাসক শ্রেণি মহা সমারোহে উন্নয়নের গালভরা গল্প শুনিয়ে সুর্বন জয়ন্তী উদযাপন করেছে। কিন্তু ৫০ বছর আগে যে সমাজের স্বপ্নে এদেশের ত্রিশ লক্ষ্য মানুষ আত্নোউৎর্সগ করেছিলো সে স্বপ্ন কতটুকু পূরণ হয়েছে? 


পাকিস্তান আমলে ১৯৬২ সালে এদেশে শিক্ষার্থীরা সামরিক স্বৈরশাষক আইয়ুব খান গঠিত শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে বুকের রক্ত ঝড়িয়েছিলো। সর্বজনীন- বিজ্ঞানভিত্তিক-অসাম্প্রদায়িক শিক্ষার দাবিতে ছাত্ররা উচ্চারন করেছে বারবার। কিন্তু স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরের আমরা দেখি শিক্ষা ব্যাবস্থার বিবর্ণ দশা।

 

স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষার প্রতিটি স্ত্যরেই বেসরকারি ধারাই প্রধান। গোটা শিক্ষা ব্যাবস্থার ৯৫ ভাগই বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে। 


জাতীয় বাজেটে শিক্ষায় বরাদ্দ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় সর্বনিম্ন, জিডিপির মাত্র ২.২ ভাগ। কিন্তু ১৯৭২ সালে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিলো মোট বাজেটের ২২ শতাংশ, আর বর্তমানে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ মোট বাজেটের ১১.৯২ শতাংশ। বাণিজ্যিক থাবায় দেশের গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা ক্ষত বিক্ষত।

 

অন্যদিকে সংবিধানে এক ধারার শিক্ষার কথাা বলা থাকলেও বহু ধারার শিক্ষাব্যবস্থা দেশে বহাল আছে। মৌলবাদী হেফাজতে ইসলামের পরামর্শে পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িক ধ্যানধারণা যুক্ত করা হয়েছে। 


প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি দলের ছাত্র সংগঠন ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। মুক্তচিন্তা- মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে করা হয়েছে রুদ্ধ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে শাসকদের লাগামহীন লুটপাটের বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিরোধকে দমিয়ে রাখতে একটা ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে।এমন একটা দমবন্ধ পরিবেশে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পার করছি। 


শাসকেরা জনগনের আকাক্সক্ষাকে পায়ে দলে দেশকে পরিচালন্ করছে, শিক্ষাকে বাণিজ্যিক পণ্যে পরিনত করা হয়েছে। একথাা নিঃসন্দেহে বলা যায় এই শোষণমূলক আর্থ- সামজিক ব্যবস্থার পরিবর্তন করা ছাড়া জনগনের শিক্ষা-স্বাস্থ্য তথা মৌলিক মানবিক অধিকার নিশ্চিত করা যাবে না।


সমাজতান্তি ছত্র ফ্রন্টের পক্ষ থেকে শিক্ষার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সমাজ পরিবর্তনের পরিপূরক ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য ছাত্র যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
 

সম্পর্কিত বিষয়: