ঢাকার সবুজবাগ থানার ক্লুলেস হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত প্রধান আসামী মুক্তা’কে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। সোমবার (২০ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীনগরে র্যাব-১১’র সদর দপ্তরের মিডিয়া অফিসার সনদ বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তিনি জানান, রবিবার (১৯ মে) রাতে র্যাব-১১ ও র্যাব-৮ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। ঢাকার সবুজবাগ থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার বাদী হাজী মোঃ ইউসুফ আলী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। তিনি বর্তমানে বাসার সামনে একটি মুদি দোকানদারি করেন। গত বছরের ৮ মে অজ্ঞাতনামা ২ জন মহিলা হাজী মোঃ ইউসুফ আলীর ৩য় তলার বাসা ভাড়া নেয়ার জন্য আসে। বাসা পছন্দ হওয়ার পর ওই ২ মহিলা ৭ হাজার টাকায় বাসা ভাড়া নিতে রাজি হয়। এবং অগ্রীম বাবদ ৫০০ টাকা দিতে চাইলে ইউছুফ আলী তা গ্রহণ করেননি। তখন মহিলারা পরদিন অগ্রীম ভাড়া দিয়ে বাসায় উঠবে বলে জানায়। পরদিন অজ্ঞাত দুই মহিলা একজন পুরুষ সহ বিভিন্ন রকমের ফল নিয়ে ইউসুফ আলীর দোকানের সামনে আসে। তখন তাহাদের মধ্যে থেকে অজ্ঞাত পুরুষ লোকটি তার সাথে কথাবার্তা বলে এবং মহিলারা তাহার বাসায় যায়। একপর্যায়ে ওই পুরুষ লোকটিও তার বাসায় যায় এবং কিছুক্ষণ পর তার জন্য এক গ্লাস সরবত নিয়ে আসে। ইউসুফ আলী উক্ত সরবত খেতে অনিহা প্রকাশ করেন। পরে অজ্ঞাত মহিলা ও পুরুষ তার বাসা থেকে দোকানের সামনে দিয়ে চলে যায়। তারা চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর ইউসুফ আলীর বাসার কাজের মেয়ে দোকানে এসে তাকে জানায়, তার স্ত্রী বিছানায় শুয়ে কেমন যেন করছে এবং বাসার সকল মালামাল এলোমেলো হয়ে আছে। তিনি দ্রুত বাসায় গিয়ে দেখেন তার স্ত্রীকে (ভিকটিম) চেতনা নাশক খাবার খাইয়ে বাসায় থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়েছে। তখন দ্রুত স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে গত ১০ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় ইউসুফ আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে সবুজবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরো জানান, এই নৃশংস ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাথে জড়িত অজ্ঞাত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১১’র একটি চৌকশ গোয়েন্দা টীম গুরুত্বের সাথে তাদের সনাক্ত ও অবস্থান নির্ণয় পূর্বক গ্রেফতারের চেষ্টা করে। এরই ধারাবাহিকতার র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ এবং র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী এর একটি যৌথ আভিযানিক দল রবিবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ক্লুলেস হত্যা মামলার সাথে জড়িত প্রধান আসামী মুক্তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মুক্তা পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানার চৈতা পল্লী মাধব খালীর বশির আহম্মেদের স্ত্রী।