বন্দরে ছোট বোনকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় বড় ভাই সোহান (১৯)কে কুপিয়ে জখম করার তিন দিনেও অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হয়নি। আহত সোহানের মা বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা দেখাচ্ছে না।
গত ২৫ জুন বন্দর উপজেলাধীন চরঘারমোড়া এলাকায় সীমান্ত গংরা ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানায় সীমান্তসহ বেশ কয়েকজনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেছেন সোহানের মা। আহত সোহান বন্দরের ঘারমোড়া এলাকায় রিপন মিয়ার ছেলে। অভিযুক্তরা হলেন মদনগঞ্জ সৈয়ালবাড়ি ঘাট এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ সীমান্ত (২০), লক্ষারচর এলাকার মোঃ হোসেন মিয়ার ছেলে মোঃ হিমেল (২১), পুনাইনগর এলাকার টুটুল মিয়ার ছেলে ছাব্বির (২০)।
আহত সোহানের মা জানান, উল্লেখিত সীমান্তসহ আসামীরা এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত থাকে। আমরা ঘারমোড়া এলাকার বাসিন্দা হলেই বর্তমানে চরঘারমোড়ায় স্বামী ও ছেলে-মেয়ে নিয়ে একত্রে বসবাস করে আসছি৷ কিন্তু বেশকিছুদিন যাবৎ আমার ১৫ বয়সি মেয়ে সোহানাকে বখাটে সীমান্ত নানা সময়ে বিরক্ত করে আসছে। তার ভয়ে আমার মেয়ে বাড়ি থেকে বের হতেও ভয় পেয়ে থাকে। পরবর্তী তারা আমার চরঘারমোড়ার বাড়িতে এসেও উত্যক্ত করা শুরু করে।
এ ব্যাপারে আমার স্বামী ও আমার ছেলে সোহান তাদের বারবার প্রতিবাদ করলেও বখাটে সীমান্ত তাতে কর্নপাত করে না। সর্বশেষ গত ২৫ জুন উল্লেখিত আসামীরা দেশীয় অস্ত্রসহ সজ্জিত হয়ে আমার বাড়িতে এসে আমার মেয়েকে একইভাবে উত্যক্ত করলে আমার ছেলে সোহান তাদের বাড়ি হতে চলে যেতে বলে। তাৎক্ষনিক সীমান্ত তার হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে সোহানকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেধড়ক কোপাতে থাকে। এতে আমার ছেলের মাথায় মারাত্মক জখম হয়৷ একই সময় হিমেল ও ছাব্বির তাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমার ছেলের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুল জখম করে। তারপর আমার ছেলের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সীমান্ত গং আমার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে সটকে পড়ে।