নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বৃহস্পতিবার,

২৮ মার্চ ২০২৪

বন্দরে মুক্তিপণের টাকা বাদীর হাতে তুলে দিল পুলিশ

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০৫:৫১, ২২ জুন ২০২১

বন্দরে মুক্তিপণের টাকা বাদীর হাতে তুলে দিল পুলিশ

বন্দরে স্কুল ছাত্র অপহরনের পর মুক্তিপণ আদায়ের টাকা উদ্ধার করে বাদীর হাতে তুলে দিয়েছে বন্দর থানা পুলিশ। সোমবার (২১ জুন) দুপুরে বন্দর থানার ওসি দিপক চন্দ্র সাংবাদিক সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক ভাবে অপহৃত স্কুল ছাত্রের মা মামলার বাদী কাজল বেগমের হাতে উদ্ধারকৃত ৪৪ হাজার টাকা তুলে দেন।


জানা গেছে, বন্দরের তিনগাঁও এলাকার প্রবাসী ইমেনর মিয়ার ছেলে স্কুল ছাত্র জিসান (১৫) কে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১ টায় তিনগাঁও এলাকা থেকে অপহরণ হয়। অপহরণকারীরা তার মুক্তিপণ হিসাবে স্কুল ছাত্রের মায়ের মোবাইলে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। অন্যথায় তাকে হত্যা করার হুমকি দেয়। 


স্কুল ছাত্রের মা কাজল বেগম ছেলের মুক্তির জন্য অপহরণকারীদের বিকাশে পর্যায় ক্রমে ৪৫ হাজার টাকা পাঠায়। এর পরেও আরো টাকা দাবি করলে তিনি বন্দর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে। 


বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহার নির্দেশে তাৎক্ষনিক বন্দর থানার চৌকস অফিসার আবুল খায়ের মোবাইল ট্রাকিং করে অপহরণকারী জুয়েল (৩২)কে গ্রেফতার করে। জুয়েলের স্বীকারোক্তিতে অপহৃত স্কুল ছাত্র জিসানকে বন্দরের হাজীপুর থেকে উদ্ধার করা হয়।


 এ সময় পুলিশ আরো ২জন অপহরনকারী সজিব (৩০) ও শাওন (২২) কে গ্রেফতার করে। এ সময় বাকি আরো ৬ অপহরনকারী কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়। 


পুলিশ মুক্তিপনের ৪৫ হাজার টাকার মধ্যে ৪৪ হাজার টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ৩ আসামীর মধ্যে শাওন আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্ধী প্রদান করে। সোমবার দুপুরে পুলিশ আদালতের নির্দেশে উদ্ধারকৃত মুক্তিপনের ৪৪ হাজার টাকা বাদী কাজল বেগমের হাতে তুলে দেন।


মুক্তিপনের টাকা পেয়ে বাদী কাজল বেগম বলেন, বন্দর থানার ওসি দীপক স্যার ও এসআই আবুল খায়ের স্যারের জন্যই আজ আমি আমার ছেলেকে ফিরে পেয়েছি। মুক্তিপনের ৪৪ হাজার টাকাও তারা উদ্ধার করে আমাকে ফেরত দিয়েছে। 


তাদের মত এমন আন্তরিক পুলিশ অফিসার খুবই পাওয়া যায়। আমি ওসি স্যার ও আবুল খায়ের স্যারের জন্য প্রান ভরে দোয়া করি। 


এ ব্যপারে বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, অপহরণের মৌখিক অভিযোগ পেয়েই আমার পুলিশ অভিযান শুরু করে এবং অপহৃত স্কুল ছাত্রকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় এবং ৩ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। 


আমি আদালতের নির্দেশে উদ্ধারকৃত মুক্তিপনের টাকা বাদীর হাতে তুলে দিলাম। সেই সাথে বাকি আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
 

সম্পর্কিত বিষয়: