বন্দরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী (১৫) ধর্ষণ মামলার ৮ মাস পর অপু (২২) নামে এক অটোরিকশা চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২০ জুন) অপুকে বন্দরের পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
অপু আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ধৃত অপু পুরান বন্দর চৌধূরীবাড়ি এলাকার মাহবুব হোসেনের ছেলে। এ ব্যাপারে গত বছরের ৩ নভেম্বর বন্দর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়।
এ মামলায় সে সময় ওই কিশোরীর জবানবন্দির ভিত্তিতে কামাল বেপারী নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কামাল বেপারী এখনো জেলহাজতে রয়েছেন।
পুলিশ জানান, কামাল বেপারী মোবাইলে পর্ণো ছবি দেখিয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্দী কিশোরীকে দেড় বছর ধরে ধর্ষণ করে। কামাল বেপারীকে গ্রেফতারের পর উভয়ের ডিএনএ টেস্ট করানো হয়। কিন্তু ডিএনডি পরীক্ষায় কোন মিল না পাওয়ায় সন্দিহান হয়ে পড়ে পুলিশ। পরে ওই কিশোরীর বর্ণনা অনুযায়ী রোববার অটোরিকশা চালক অপুকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবুল খায়ের জানান, গত বছরের ৩ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বন্দরের কলাবাগ এলাকার শাওনের অটোরিকশা গ্যারেজের পিছনে নিয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্দী ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে অটোরিকশা চালক অপু।
এ ঘটনায় ৩ নভেম্বর থানায় মামলা করেন ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা। সে সময় কিশোরী কামাল বেপারীর নাম বলে। এরপর কামাল বেপারীকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে উভয়ের ডিএনএ টেস্ট করা হয়। ৬ মাস পর টেস্টের রিপোর্ট পাওয়ার পর কামাল বেপারীর সঙ্গে ডিএনএ টেস্টের মিল না পাওয়ায় নড়েচড়ে বসে পুলিশ। এরপর প্রকৃত ধর্ষকের খোঁজে নামে পুলিশ।
রোববার কিশোরীকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে কলাবাগ এলাকার শাওনের অটোরিকশা গ্যারেজের পিছনে নিয়ে ওই দিনের ধর্ষণ ঘটনার বর্ণনা দেয় এবং ধর্ষক সর্ম্পকে পুলিশকে একটি ধারণা দেয় । এ ধারণার প্রেক্ষিতে রোববার অটোচালক অপুকে গ্রেফতার করা হয়। অপু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এস আই আবুল খায়ের আরও জানান, পুলিশের তদন্তে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। এ ধর্ষণ ঘটনার আগে জেলহাজতে থাকা কামাল বেপারী মোবাইলে পর্ণো ছবি দেখিয়ে কিশোরীকে দেড় বছর ধরে ধর্ষণ করে।