নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বৃহস্পতিবার,

২৫ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে ১টি আইপিভি ও ৬ টি স্পিড বোট হস্তান্তর

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০০:২৬, ১২ জানুয়ারি ২০২২

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে ১টি আইপিভি ও ৬ টি স্পিড বোট হস্তান্তর

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য নির্মিত একটি ইনশোর প্যাট্রোল ভেসেল (আইপিভি) এবং ৬টি ওয়াটার জেট প্রযুক্তির হাই স্পিড বোটের হস্তান্তর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জে ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডে এ হস্তান্তর অনুষ্ঠান করা হয়। 


ডিইডব্লি লি: এর কনস্ট্রাকসন সাইটে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সভাপতিত্ব উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনীর মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী , আইপিভি এবং বোর্ডসমূহের হস্তান্তর কার্য সুসম্পন্ন করেন।


উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন এ ধরনের যুদ্ধ জাহাজ এবং হাই স্পিড বোট নির্মাণ আমাদের দেশের জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এর ফলে একদিকে যেমন দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখবে।


প্রায় ৫৩ মিটার দৈর্ঘ্যের ২৩ নট গতিসম্পন্ন আইপিভি এবং ১৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ২৭ নট গতিসম্পন্ন আধুনিক ওয়াটার জেট প্রযুক্তির হাই স্পিড বোটগুলো বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের বহরে যুক্ত হয়ে বাহিনীর নানা কাজে নিয়োজিত থাকবে। 


তাছাড়া বোটগুলো যেকোনও দুর্যোগময় মুহূর্তে অতি অল্প সময়ে ত্রাণসহ নানাবিধ সহায়তা দিতে সক্ষম। বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের জারি করা কঠোর লকডাউনের মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত ছিল।


ঐতিহ্যবাহী নগরী নারায়ণগঞ্জ এর কোল ঘেঁষে শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্বপাড়ে ১৯২২সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। মোট ২২ একর এলাকা সমৃদ্ধ এই ইয়ার্ড দেশের সবচাইতে ঐতিহ্যবাহী ও পুরাতন ডকইয়ার্ড, যার জাহাজ নির্মাণ ও মেরামতের ক্ষেত্রে রয়েছে প্রায় শত বর্ষের প্রত্যক্ষ ও বাস্তব অভিজ্ঞতা। 


১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর এটি বিআইডিসি এবং পরে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে চলে আসে। স্বাধীনতার পর পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ঐতিহ্যবাহি এই ইয়ার্ডে নির্মাণ করা হয় দেশের প্রথম সামরিক জাহাজ বিএনএস পাবনা। 


তারপর একে একে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য আরো চারটি জাহাজ নির্মিত হয় যেগুলো পাবনা ক্লাস নামে পরিচিত। এই ডকইয়ার্ড প্যাট্রোল ক্রাফট/ যুদ্ধ জাহাজ তৈরিতে যে পারদর্শিতা অর্জন করেছে তা জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে আরো সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি দেশকে এই ধরনের আরও যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। 


এছাড়া শিপবিল্ডিং ও জাহাজ মেরামত কাজের পাশাপাশি সকল প্রকার স্টিল ইঞ্জিনিয়ারিং কাজসহ বিভিন্ন জাহাজের ইঞ্জিন ওভারহলিং থেকে শুরু করে প্রায় সকল ধরনের ভারী প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবাসহ সকল সুযোগ সবিধা, সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং পরিবেশ বান্ধব উৎপাদনমুখী কর্মপরিবেশ অত্র ইয়ার্ডের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের চালিকাশক্তি।

সম্পর্কিত বিষয়: