ফতুল্লার ইসদাইরে ছুরিকাঘাতে নিহত ধ্রুব চন্দ্র দাস (১৬) হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা মাধব চন্দ্র দাস বাদী হয়ে দশ জনের নাম উল্লেখ্য করে মামলা দায়ের করেছে।
মামলায় আসামী করা হয়েছে, ফতুল্লা থানার ইসদাইর বাজার এলাকার মোঃ মিঠুর পু্ত্র ইয়াসিন(১৬),ইসদাইর উকিলের বাড়ীর লিটন দাসের পুত্র পিয়াশ দাস(১৬),শ্রী বলয় চন্দ্র রায়ের পুত্র শ্রী রিপন(১৭),উজ্জল চন্দ্র দাসের পুত্র রুদ্র চন্দ্র দাস(১৬),বিমল চন্দ্র শালের পুত্র অন্তু চন্দ্র শীল (১৬),শ্যামল চন্দ্র দাসের পুত্র জয় চন্দ্র দাস(১৭),প্রান্তোষের পুত্র প্রভাত(১৬), একই এলাকার তুহিন (২১),ফয়সাল (২১)ও হিমেল (১৯)।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয় বাদীর একমাত্র ছেলে ধ্রুব চন্দ্র দাস (১৬) ফতুল্লা থানার ইসদাইরস্থ রাবেয়া স্কুলে ১০ম শ্রেণীর ছাত্র। সোমবার(১৭ মে) সন্ধ্যার সময় বাদীর ছেলে নিজ বাসায় বসিয়া লেখাপাড়া করিতেছিল। রাত ৮ টার দিকে ছেলের সহাপাঠি শ্রী রিপন ও রুদ্র চন্দ্র দাস বাসায় আসিয়া তাদের অপর এক সহপাঠির জন্মদিনের গিফট কেনার কথা বলে বাসা থেকে ডেকে বের করে।
রাত সাড়ে আটটার দিকে রাবেয়া স্কুলের সামনে রাস্তায় পৌছাইলে নিহতের সহাপাঠি শ্রী রিপন ও রুদ্র চন্দ্র দাস সহ অভিযুক্ত আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন হাতে ছোৱা, চাকু, সুইচ গিয়ার চাকু, লোহার পাইপ ইত্যাদি দেশীয় অম্ল-সঙ্গে সজ্জিত হইয়া পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে নিহত ধ্রুব কে এলোপাথারী মারপিট করিতে থাকে।
এক পর্যায়ে হাতে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে ধ্রুবকে এলোপাথারী পেটাতে থাকে। এমন সময় অভিযুক্ত ইয়াসীন তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে ধ্রুব কে ছুরিকাঘাত করে। ফলে রাস্তায় পরে যায় ধ্রুব।সংবাদ পেয়ে বাদীর ছোট ভাই মিঠুন চন্দ্র দাস ও তুষার তাকে রক্তাক্তবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নারায়নগঞ্জ
জেনারেল হাসপাতাল (ভিক্টোরিয়া), নারায়ণগঞ্জ নিয়া গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ধ্রুব কে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। বাদী সহ স্বজনেরা ধ্রুব কে এ্যাম্বুলেন্স যোগে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া গেলে রাত সোয়া দশটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার ছেলেকে মৃত ঘোষনা করে।
এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনার পরপর ছয়জন কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো ফতুল্লা থানার ইসদাইর এলাকার মোঃ মিঠুর পুত্র ইয়াসীন(১৫),ইসদাইর উকিল বাড়ীর লিটন দাসের পুত্র পিয়াস দাস(১৫),ইসদাইর বটতলার বিমল চন্দ্র শীলের পুত্র অন্ত চন্দ্র শীল(১৫),পূর্ব ইসদাইর বুড়ির দোকানের শ্রী বলয় চন্দ্রের পুত্র শ্রী রিপন, ইসদাইর বাজার এলাকার শ্যামল চন্দ্র দাসের পুত্র জয় চন্দ্র দাস(১৭) ও বুড়ির দোকান এলাকার উজ্জল চন্দ্র দাসের পুত্র রুদ্র চন্দ্র দাস(১৬)।
ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ শেখ রিয়াজুল হক দিপু জানায়, নিহত স্কুল ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। ইতিমধ্যে পুলিশ এজাহারনামীয় ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।বাকী আসামীদের কেও গ্রেফতারের চেস্টা করছে পুলিশ।