নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শনিবার,

২০ এপ্রিল ২০২৪

মোটর চুরির টাকার দ্বন্ধেই খুন হয় ফতুল্লার হৃদয়

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০৩:১০, ১৪ আগস্ট ২০২১

মোটর চুরির টাকার দ্বন্ধেই খুন হয় ফতুল্লার হৃদয়

ইনসেটে হৃদয় হত্যা মামলার গ্রেপ্তারকৃত রাহাত

চুরি করা মোটর বিক্রির টাকার ভাগ বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করেই সহযোগীদের হাতে খুন হয় ফতুল্লার হাজীগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন উচা বাড়ীর হৃদয়। হত্যাকান্ডের ঘটনায় জেলা কারাগারে আটক পারভেজ প্রথমে ইট দিয়ে নিহত হৃদয়ের মাথার পেছনে রক্তাক্ত জখম করে।

 

পরে সিকান্দার ও পারভেজ বৃস্টির পানিতে নিহতের মাথা পানির মধ্যে চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে সিকান্দার এবং পারভেজ এক সাথে হোটেলে গিয়ে নাস্তা করে। নাস্তা শেষে তারা ইয়াবা সেবন করে বিভক্ত হয়ে পরে। 


ফতুল্লার হাজীগঞ্জে নিহত হৃদয় হত্যাকান্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত রাহাত (২৭) এর জবানবন্দীর বরাত দিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এস এম শামীম এ তথ্য জানান। 


শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট নুর নাহার ইয়াসমিনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন রাহাত। জবানবন্দী প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা কোর্ট পরিদর্শক আসাদুজ্জামান।


এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে হৃদয় হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত একমাত্র পলাতক আসামী রাহাত কে কায়েমপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত রাহাত ফতুল্লা মডেল থানার মধ্য কায়েমপুরের রফিকুল ইসলামের পুত্র। হৃদয় হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত ৫ আসামীর মধ্যে একমাত্র রাহাতই বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। 


উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের জুন মাসের ২০ তারিখ সকালে ফতুল্লার হাজীগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহযোগিদের হাত খুন হয় হৃদয়। পুলিশ সংবাদ পেয়ে দুপুরে স্কুল মাঠ থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। নিহত হৃদয় ফতুল্লা মডেল থানার হাজীগঞ্জ উচা বাড়ীর খোকনের মিয়ার পুত্র।


এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই রনি বাদী হয়ে ফতুল্লার পশ্চিম হাজীগঞ্জ বন্যাপাড়া সুমনের বাড়ীর ভাড়াটিয়া আব্দুল করিমের পুত্র পারভেজ ওরফে জামাই পারভেজ (২৫), একই থানার পশ্চিম হাজীগঞ্জের ওয়াপদার পুলের  প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন উচা বাড়ীর মৃত রমজান আলীর পুত্র সেকান্দার (৪০), একই এলাকার মৃত আব্দুল আলীমের পুত্র মাহাবুব (৩৫), মৃত সামাদের পুত্র দুলাল (৩৫) ও মো. রাহাত (২৪) এর নাম উল্লেখ্য সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থামায় মামলা  দায়ের করেন।


ঘটনার পরপরই পুলিশ প্রথমে মামলার এজাহারভুক্ত আসামী সেকান্দারকে গ্রেফতার করে। পরবর্তী সময়ে একে একে মামলার এজাহারভুক্ত আসামী পারভেজ, মাহাবুব ওদুলাল কে গ্রেফতার করে।

 

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতে মামলার এজাহারভুক্ত একমাত্র পলাতক আসামী রাহাত কে গ্রেফতার করে এবং হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয় পুলিশ।