ফতুল্লার পাগলা আমতলা এলাকার কথিত যুবলীগ নেতা এফএম খোকনের বোন,ভগ্নিপতি ও ভাগ্নেদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ফতুল্লা থানার সামনে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী যুবলীগ নেতা খোকনের বোন রাবিয়া, তার বোন জামাই শ্যামল, ভাগ্নে ইমন ও সুমনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সহ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পূর্ব শাহি মহল্লা নিশ্চিন্তপুর পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলূম সরকার,সাধারন সম্পাদক আলী আরশাদ সহ প্রায় অর্ধ শতাধিক ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
জানা যায়, পাগলা নিশ্চিন্তপুর আমতলা এলাকার রাবিয়া(৪৬), তার স্বামী শ্যামল(৩০) ও রাবিয়ার দুই পুত্র ইমন(২৭),সুমনের (২০) অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পরেছিলো স্থানীয় সকল শ্রেনীর পেশাজিবী মহল। বিশেষ করে রাবিয়ার স্বামী শ্যামল ও তার দুই পুত্র ইমন,সুৃমনের চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলো স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মোঃ রহমত উল্লাহ জানান তার দোকানে এসে ইমন দুদিন পূ্র্েব ৫ হাজার টাকা বিকাশ করে নিয়ে যায়।পরবর্তীতে সে টাকা ফেরত চাইলে তাকে মারধর করার হুমকী প্রদান করে। হকার আজিজ জানায় বৃহস্পতিবার সকালে ইমন ও তার ভাই সুমন বাবা শ্যামলের উপস্থিতিতে তার নিকট থেকে জোর পূর্বক ২ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সে প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করা হয়। ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন জানান প্রতিদিন ইমন ও সুমন তার দোকান থেকে দৈনিক ৩০০ টাকা করে চাঁদাদাবী করে আসছে।আর এ কারনে সে গত কয়েকদিন ধরে তার দোকান বন্ধ করে রেখেছে। অটোরিক্সা ব্যবসায়ী আসলাম জানায় তার নিকট থেকে চাঁদা দাবী করে আসছে তিনি চাঁদা প্রদানে অস্বীকার করলে তাকে হুমকী দিচ্ছে।
পাগলা পূর্ব শাহি মহল্লা নিশ্চিন্তপুর পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম সরকার জানায়, রাবিয়ার পরিবার কে এলাকার সকলেই সমিহ করে চলে। রাবিয়া তার স্বামী শ্যামল দুই পুত্র ইমন ও সুমন এলাকায় নানা অপরাধের জন্ম দিচ্ছে।চাঁদাবাজী,ছিনতাই সহ নানা অপরাধের জন্ম দিয়ে স্থানীয়বাসীকে জিম্মি করে রেখেছে।
এ সকল বিষয়ে সে সহ এলাকার মুরুব্বিদের অনেকেই প্রতিবাদ করতে গিয়ে নাজেহাল হয়েছেন। তারাই আজ(বৃহস্পতিবার) রাতে সকল ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে রাবিয়া ও তার স্বামী সহ সন্ত্রাসী পুত্রদের বিচারের দাবীতে প্রশাসনের সাহায্য জন্য ফতুল্লা থানায় এসেছেন।
ফতুল্লা মডেল থানার আইসিপি (ইনস্পেকটর কমিউনিটি পুলিশ) শহিদুল ইসলাম খান হক জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রমান মিলেছে। উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।