নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বৃহস্পতিবার,

২৮ মার্চ ২০২৪

বাবার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে কিশোরের অপহরণ নাটক

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০২:২৭, ১১ জানুয়ারি ২০২২

বাবার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে কিশোরের অপহরণ নাটক

বাবার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে নিজেই অপহরণের নাটক করলো ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর।  পরিকল্পনামাফিক নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পরে সহোযোগি অপর এক কিশোরের  মাধ্যমে বাবার কাছে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে এল তার সাজানো ‘অপহরণ’ নাটক।


ওই কিশোরের নাম মুস্তাকিন। সে ফতুল্লা থানার ধর্মগঞ্জ ঢালীপাড়ার মুন্সি বাড়ী সড়কের শাহিনের বাড়ীর ভাড়াটিয়া  মোঃ মহিউদ্দিনের পুত্র ও স্থানীয় একটি পোষাক তৈরির কারখানার শ্রমিক। সোমবার(১০ জানুয়ারী) তাকে ধর্মগঞ্জস্থ তার এক সহোযোগগির বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। 


তাকে উদ্ধারের পর পুলিশ জানায়, মুস্তাকিন নিজেই আত্মগোপনে গিয়ে অপহরণের নাটক সাজিয়েছেন। পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেই সহোযোগি বন্ধু সাকিবে মাধ্যমে তারা বাবাকে মুক্তিপণের জন্য ফোন দেওয়া হয়।


ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জানায়, রোববার রাত থেকে কিশোর  মুস্তাকিনকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছিলোনা তার পরিবার। সোমবার (১১ জানুয়ারী) সকালে তার পিতা থানায় এসে জানায় যে, তার ছেলেকে অপহরন করা হয়েছে এবং মুক্তিপন বাবদ একটি ফোন নাম্বার থেকে ফোন করে ২ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন মুস্তাকিনের বাবা। 


লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, তার ছেলে মুস্তাকিন স্থানীয় একটি গার্মেন্টে চাকুরী করে। রোববার সকাল নয়টার দিকে নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ০১৩২২১৮২৩২৪ নাম্বার থেকে তাকে ফোন করে জানানো হয় তাট ছেলেকে জীবিত ফিরে পেতে হলে ০১৩০৯৮০৭৫০৮ নাম্বারে বিকাশের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা পাঠাতে এর ব্যতিক্রম হলে তার ছেলেকে হত্যা করা হবে বলে।


কিশোর মুস্তাকিনের বাবার এমন অভিযোগের পর উদ্ধারে নামে পুলিশ। ফতুল্লা থানার উপপরিদর্শক রাশেদ ফোন নাম্বারের সূত্র ধরে জানতে পারে যে ফোন নাম্বারটি ধর্মগঞ্জ এলাকার একটি বিকাশের দোকানের। এক পর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে যে দোকান টি নিখোঁজ কিশোর মুস্তাকিনের বন্ধু সাকিবের বড় ভাইয়ের। 


বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পুলিশ সাকিবের বাসায় অভিযান চালয়ে কিশোর মুস্তাকিনকে উদ্ধার করে। পরে মুস্তাকিন পুলিশের নিকট স্বীকার করে যে বাবার নিকট থেকে টাকা আদায়ের কৌশল হিসেবে মুক্তিপনের নাটক সাজিয়েছে।


ফতুল্লা থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, বাদীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে কিশোর মুস্তাকিনকে উদ্ধার করলে আত্নগোপন করে বাবার নিকট থেকে মুক্তিপন আদায়ের সাজানো নাটক প্রকাশ হয়। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুস্তাকিনের বন্ধু সাকিবকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে তিনি জানান।
 

সম্পর্কিত বিষয়: