সোনারগাঁয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
তাদের মধ্যে পুলিশ কর্মকর্তা মেরাজুল ইসলাম সোহাগের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
হামলাকারীরা এ সময় পুলিশের একটি ওয়াকিটকি ওয়্যারলেস ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় রবিবার (১২ জুন) সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফারুক হোসেন বাদী হয়ে সাত জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- আবদুল আওয়ালের ছেলে ও পলাতক আসামি মো. আমিন (৪০), হাফিজ উদ্দিন (৪৬), বিনা বেগম (৪১), আছমা (৩৮), মৃত গেদু মিয়ার ছেলে আ. আউয়াল (৭৪), হাফিজ উদ্দিনের ছেলে শরীফ (২২) ও আরমান (২৪)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, একটি মারামারির মামলায় আসামি আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। শনিবার (১১ জুন) দুপুরে কাঁচপুর সংলগ্ন সিনহা গার্মেন্টেসের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন এসআই মো. ফারুক হোসেন ও এসআই মেরাজুল ইসলাম সোহাগ।
সে সময় দেহ তল্লাশি করে পুলিশ ভ্যানে ওঠানোর সময়ে তাদের ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় আমিন। পরে রূপগঞ্জের যাত্রামুড়া ব্রিজ সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস এলাকা থেকে তাকে পুনরায় গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আমিনের ভাই-বোন ও আত্মীয়রা (মামলার ২ থেকে ৭নং আসামি) পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দুই পুলিশ কর্মকর্তার ওপরে হামলা করে। হত্যার উদ্দেশ্যে তারা লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে দুই কর্মকর্তার মাথায়, হাতে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে জখম করে।
এ সময় আসামি আমিনকে তারা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ছাড়াও হামলাকারীরা একটি ওয়াকিটকি ওয়্যারলেস ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, আসামি আমিনকে গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশকে মারধর করে তাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।