ভালোবেসে বাবা-মাকে ছেড়ে তাদের অজ্ঞাতসারে নতুন জীবনের সন্ধানে প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছেড়েছিলো সদ্য কৈশর পেরুনো ১৮ বছর বয়সী তরুনী তামান্না ইসলাম। বিয়ে ও করেছিলো কিন্ত বিয়ের দু মাস যেতে যেতেই সেই ভালোবাসার মানুষটির সাথে অভিমান করে আত্নহত্যার পথ বেছে নিতে হলো তামান্না ইসলাম কে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাতে ফতুল্লা মডেল থানার ভুইগড় শিকদার বাড়ীর বাবুল মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসায়।
এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা ঢাকার তুরাগ থানার ফুলবাড়িয়ার মোঃ রিপন বাদী হয়ে আত্নহত্যার প্ররচরনার অভিযোগ এনে নিহতের স্বামী ইসমাইল হোসেন কে অভিযুক্ত করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন কে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত ইসমাইল হোসেন চাদঁপুর জেলার মতলব থানার বৈদনাথপুরের ওমর আলী কাজীর পুত্র।
মামলার বাদী ও নিহত তামান্না ইসলামের বাবা রিপন জানায়, তার মেয়ে মিরপুরের একট বায়িং হাউসে চাকুরী করতো। সেখানে গ্রেপ্তারকৃত ইসমাইল হোসেন ও চাকুরী করতো। একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করার সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সমর্ক গড়ে উঠে।
প্রেমের সূত্র ধরে গত দুই মাস পূর্বে তারা কাউকে না জানিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গোপন বিয়ে করে ফতুল্লার ভুইগড় এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করে। এমনকি তারা যে বায়িং হাউজে চাকুরি করতো সেখান থেকেও চাকুরী ছেড়ে দেয়। বাদী তার মেয়ের সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা করে ও ব্যর্থ হয়।
ইসমাইলের ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে যোগাযোগের চেস্টা করলেও সঠিক ঠিকানা সে বাদীকে কখনোই জানায়নি। মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে ইসমাইল তাকে ফোন করে জানায় তামান্না ইসমাইল অভিমান করে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্নহত্যা করেছে।
সংবাদ পেয়ে সে ইসামইলের দেওয়া ঠিকানানুযায়ী এসে আশপাশের প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানতে পারে যে, প্রায় সময় বাদীর মেয়ের সাথে গ্রেপ্তারকৃতের ইসমাইল হোসেনের সাথে ঝগড়া হতো। এবং তার মেয়েকে শারিরিক নির্যাতন করতো। মঙ্গলবার রাত আটটার দিকেও তাদের উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে গ্রেপ্তারকৃত ইসমাইল হোসেন বাদীর মেয়েকে বলে যে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করতে পারিস না। এ কথা বলে সে বাইরে চলে যায়। পরে ফিরে এসে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে তাকে ফোন করে জানায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক শাহাদাত হোসেন জানায়, নিহত তামন্না ইসলামের বাবা বাদী হয়ে আত্নহত্যার প্ররচনার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত আসামী ইসমাইল হোসেন কে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।