বন্দরে অভিনব কায়দায় প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো-গ ১৪-৮৬৭৩) এর চালক সেজে রানা (৩৮) নামে এক মাদক কারবারি মাদকের বড় বড় চালান পাচার করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বন্দর থানা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাদক পাচার করে আসছে ওই ব্যবসায়ী। ৬মাস পূর্বে মাদকসহ ডিবি পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হয়ে ফের জামিনে বের হয়ে পুরনো ব্যবসায় ফিরেছে মাদক কারবারি রানা।
সুত্রে জানা গেছে, বন্দর থানা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রাইভেটকারের চালক সেজে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের দেওলী চৌড়াপাড়া এলাকার রানা ওরফে চরকী রানা দীর্ঘদিন ধরে প্রাইভেট কারে বহন করে ফেনসিডিল ও ইয়াবার ব্যবসার বড় বড় চালান ডেলিভারী করে থাকে।
চাউর রয়েছে বন্দর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের সাথে সখ্যতা রেখে গোপনে এ অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ৬ মাস পূর্বে ঢাকায় ডিবি পুলিশের হাতে বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয় সে। পরে কারাভোগ শেষে গত ১ মাস পূর্বে জামিনে বের হয়ে পূণরায় প্রাইভেট কারে বহন করে মাদক পাচার করছে বলে সুত্র জানায়।
এদিকে বন্দরে তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ী ব্লাক জনি, ক্যাপ রোমান, সালাউদ্দিন নামে মাদক কারবারিদের সাথে রয়েছে তার দহরম মহরম সম্পর্ক। এজন্য সে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রশাসনের সাথে সুসম্পর্ক রেখে ভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে প্রাইভেটকারে বহন করে মাদকের বড় বড় চালান ডেলিভারী দিয়ে থাকে।
দেওলী চৌড়াপাড়া এলাকায় গোলজার মিয়ার ছেলে এই রানার নেতৃত্বে নদীর পাড় এলাকায় গোপনে চালিয়ে যাচ্ছে ফেনসিডিল ও ইয়াবার ব্যবসা। এদের রয়েছে কয়েকটি হোন্ডাবাহিনী। তারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মোটরসাইকেল যোগে স্থানীয় ও বহিরাগত ক্রেতাদের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছে মাদকদ্রব্য।
সাধারন মানুষ জেনেও তাদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়না। তবে পুলিশের রদবদল হলেও রানার মাদকের কৌশলও পরিবর্তন ঘটে। ধরা ছোয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ী রানার কার্যক্রম।
মাদকের এ ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে এলাকাবাসী নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
