নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শুক্রবার,

২৯ মার্চ ২০২৪

বক্তাবলীতে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের ৬ জন আহত, গ্রেপ্তার ২

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০৪:২৬, ২৭ জানুয়ারি ২০২৩

বক্তাবলীতে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের ৬ জন আহত, গ্রেপ্তার ২

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ধারালো অস্ত্রের ধারায় প্রতিপক্ষ লোকজন নারী সহ ৫/৬ জনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। সন্ত্রাসী গনি হুকুমে প্রকৃত জমির মালিকদের উপর হামলা চালিয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজন নারীকে গ্রেপ্তার করে। 


এ ঘটনায় বুধবার (২৭ জানুয়ারী) বিকেলে মোহাম্মদ হোসাইন বাদী হয়ে সন্ত্রাসী গনি সহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।  গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বক্তাবলীর চর রাজাপুর এলাকার আজিজুলের স্ত্রী রাবিয়া (৩২) এবং জলিলের স্ত্রী মফিজা বেগম (৬০)। 


মামলা সূত্র ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লার বক্তাবলীর চর রাজাপুর সাত ভাই আটি এলাকার জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে আকবরনগর এলাকার  সামেদ আলীর সন্ত্রাসী পুত্র ওসমান গনির সাথে রামনগর এলাকার মৃত শহর আলীর ছেলেদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। প্রায় সময় গনি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে শহর আলীদের জমি দখলের চেষ্টা চালায়।

 

এতে ব্যর্থ হয়ে পিছু হটে। এই জমির বিরোধ নিয়ে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অফিসে শালিস বসলেও গনি শালিস না মেনে চেয়ার  ভাঙচুর করে শালিস পন্ড করে।

 

সেই বিরোধে ২৬ জানুয়ারী সকালে চর রাজাপুর এলাকায় মোহাম্মদ হোসেনকে রাস্তায় একা পেয়ে সন্ত্রাসী গনির নির্দেশে নারী পুরুষ মিলে তার রাস্তা গতিরোধ করে মারধর করতে থাকে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

 

এসময় হোসেনের চিৎকারে তার ভাই দাদন, ভাবী রুমা এবং প্রতিবেশি রিয়েল এগিয়ে গেলে তাদেরকেও মারধর করে এবং ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখম করে। 


এ ঘটনায় মোহাম্মদ হোসাইন বাদী হয়ে আব্দুল মজিদের ছেলে আজিজুল, তার স্ত্রী রাবিয়া, জলিলের স্ত্রী মফিজা বেগম তার ছেলে ইয়াছিন, মজিদের পুত্র নুরুউদ্দিন, সামেদ আলীর ছেলে ওসমান গনি এবং ইমান হোসেন সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৮/১০ জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করে।  

 

মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই আব্দুল আজিজ মামলা দায়ের বিষয় নিশ্চিত করে জানান, মারামারির ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রিজাউল হক দিপুর নির্দেশ পাওয়ার সাথে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয় এবং কয়েকজনকে রক্তাক্ত জখম করার ঘটনায় জড়িত রাবিয়া ও মফিজা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয় এবং মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।