নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বুধবার,

২৪ এপ্রিল ২০২৪

থানার ভিতরে পুলিশ আটক করে ছেড়ে দেয়ার পর 

সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশ স্টিকার লাগানো সেই মোটর সাইকেল আটক হয়নি

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০৪:৩৩, ৩১ জুলাই ২০২১

সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশ স্টিকার লাগানো সেই মোটর সাইকেল আটক হয়নি

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভিতরে পুলিশ লেখা স্টিকার লাগানো মোটর সাইকেলসহ বাইকের মালিক বখাটে যুবক সিফাতকে আটক করেও রহস্যজনক কারণে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে।

 

কিন্তু ৫ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ সেই মোটরসাইকেল আটক করতে পারেনি। অথচ বখাটে সিফাত সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একাধিক দারোগার সাথে সখ্যতা করে নানা অপরাধ করে বেড়াচ্ছে।

 

ওই পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে সু-সম্পর্কের কারণে সে তার বাইকে বেআইনীভাবে পুলিশ লেখা স্টিকার লাগিয়েছে।  এ নিয়ে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেডু পেশার মানুষের মধ্যে। 


এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জানান, গাড়িটি পুলিশের একজনের কাছ থেকে কিনেছে বলে জেনেছি। কাগজপত্র ঠিক থাকার কারণে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানতে পেরেছে।

 

কিন্ত পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে নানা অভিযোগে একজন অভিযুক্ত এলাকায় ধাবড়িয়ে বেড়ানো অপরাধ কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি আপনার সোর্স দিয়ে তার অবস্থান জানান আমি এখনই ফোর্স পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিবো। 


জানাগেছে, মিজমিজ রহমতনগর এলাকায় সিফাত নামে এক যুবক দীর্ঘদিন ধরে ব্যক্তিগত মোটর সাইকেলে পুলিশ লেখা স্টিকার লাগিয়ে নানা অপরাধে জড়াচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিশোরগ্যাং, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, মারামারিসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত এই সিফাত। কিন্তু তাকে কেউ কিছু বলে না।

 

কারণ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা নাকি তার বন্ধু। এমন পরিচয় দিয়ে বেড়াচ্ছে সিদ্ধিরগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায়। এবং মোটর সাইকেলে পুলিশ লেখা স্টিকার লাগিয়ে দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছে।


 এদিকে গত ২৪ জুলাই বাবুল নামে এক ব্যবসায়ী বখাটে সিফাত (৩০), ইমরান (৩০), হেলাল (৩০), সজল (২৬) এবং সৌরভ (২৬) নামে ৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করেন।


এ ঘটনায় গত ২৫ জুলাই বিকেলে উভয়পক্ষকে থানায় ডাকে পুলিশ। সিফাত পুলিশ লেখা স্টিকার লাগানো তার ব্যক্তিগত মোটর সাইকেলটি নিয়েই থানায় উপস্থিত হয়। এসময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবুল ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাজ্জাক সিফাতের মোটর সাইকেলটি আটক করে।

এবং তার কাছে মোটর সাইকেলে পুলিশ লেখা স্টিকার লাগানোর কারণ জানতে চাইলে সিফাত জানায় কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা তার বন্ধু। তাদের পরামর্শেই সে এই স্টিকার ব্যবহার করছে।

এদিকে রহস্যজনক কারণে রাতেই পুলিশ মোটর সাইকেলটি আবারো সিফাতের জিম্মায় বুঝিয়ে দেয়।


এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবুল জানান, আমি গাড়িটির চাবি নিলেও বিষয়টি নিয়ে ওসি স্যারের সাথে কথা বলেন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাজ্জাক। আমি পরে ডিউটিতে চলে যাই। রাজ্জাক কিভাবে গাড়িটি ছেড়ে দেয় তা আমার জানা নেই।


এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাজ্জাক প্রথমে জানান, গাড়িটির কাগজপত্র ঠিক থাকার কারণে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।


সাধারণ মানুষের মটরসাইকেলে পুলিশের স্টিকার লাগানোর বৈধতা রয়েছে কিনা এবং মোটরসাইকেলের বাহকের বিরুদ্ধে নানা অপরাধ কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে সে কিভাবে পুলিশের স্টিকার গাড়িতে লাগায় এটা কি কোনো অপরাধ কর্মকান্ডের মধ্যে পড়ে কিনা জানতে চাইলে এএসআই রাজ্জাক বলেন এটা সিনিয়র স্যাররা জানেন এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।


সিনিয়র স্যার বলে কাকে বোঝাতে চেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি কথা বলে জানাবেন বলে ফোনটি রেখে দেন।