নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শুক্রবার,

১৯ এপ্রিল ২০২৪

রূপগঞ্জের মারহাবা এগ্রোতে হাজার কেজির ‘কালা চাঁদ’

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০১:৫৮, ২৫ জুন ২০২২

রূপগঞ্জের মারহাবা এগ্রোতে হাজার কেজির ‘কালা চাঁদ’

কুরবানীর ঈদকে ঘিরে ঢাকার আশপাশের অঞ্চলে বহু গবাদীপশু মোটাতাজা করণ খামার গড়ে ওঠেছে। প্রতিবছর এসব খামারে ১০০ কেজি ওজন থেকে শুরু করে ১২০০ কেজি ওজনের গরু প্রস্তুত করা হয়। 


তবে খামারের এসব গরু ঈদের আগেই ক্রেতারা দরদাম ঠিক করে রাখেন। ঈদের একদিন বা দুইদিন আগে ওইসব কুরবানীর গরু ক্রেতারা খামার থেকে নিয়ে থাকেন। 


ঢাকার পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গাউছিয়া মার্কেট এলাকায় ‘মারহাবা এগ্রো’ নামে খামারে এবার দেশিয় পদ্ধতিতে শতাধিক গরু লালন পালন করা হয়েছে। এ খামারে ১২০ কেজি থেকে শুরু করে ১ হাজার কেজি ওজনের গরু রয়েছে।


ইতিমধ্যে ৪০টি গরু বিক্রি হয়ে গেছে। বিশাল আকৃতির খামারে এসব গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। তাছাড়া খামারের পাশেই প্রদর্শন করার জন্য ৬ বিঘা জমিতে সেড নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল-বিকেল এ সেডে গরুগুলো উম্মুক্ত করে রাখা হয়। ফলে গরুগুলো দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি হয়ে থাকে। 


এ খামারে দেশিয় ষাড় গরু ছাড়াও জার্সি, হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান, সিন্ধী, শাহীওয়াল, গারনেসি, নওরেজিয়ান রেড জাতের গরু রয়েছে। এবার মারহাবা এগ্রোতে জার্সি জাতের ‘কালা চাঁদ’ নামে একটি গরু দেশীয় পদ্ধতিতে ১ হাজার কেজি ওজনের তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও ৮০০ কেজি, ৭৫০ কেজি, ৪০০ কেজি, ৩০০ কেজি ওজনের প্রচুর গরু রয়েছে মারহাবা এগ্রোতে। 


গাউছিয়া গ্রুপ অব কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মারহাবা এগ্রো এর মালিক মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু বলেন, এ খামার এখনো লাভজনক খাতে যুক্ত করা হয়নি। এ খামারে প্রস্তুত করা গরু মানুষ কুরবানীর জন্য কিনে নেয়। এসব গরু দেশীয় পদ্ধতিতে প্রস্তুত করতে গিয়ে অধিকাংশ সময় লোকসান গুনতে হচ্ছে। 


তবে মানুষকে ভালো মানের গরু ও মাংস খাওয়ানোর জন্যই মারহাবা এগ্রো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ খামারের গরুর মধ্যে কখনো ইনজেকশন পুশ করা হয় না। তাছাড়া ক্রেতারা গরুর লালন পালন এবং প্রস্তত কার্যক্রম দেখে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে। 


এখানে স্বল্পমূল্যে গরু বিক্রি করার কারণে প্রতি বছর কুরবানীর কয়েকদিন বাকি থাকতেই পশু বিক্রি হয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, এ খামারে আরো নতুন নতুন জাতের গরু প্রস্তত করার পরিকল্পনা রয়েছে। মানসম্মত ও দেশীয় পদ্ধতিতে গরু প্রস্তুত করায় প্রতি বছরই এ খামারে গরুর প্রচুর চাহিদা থাকে।  
 

সম্পর্কিত বিষয়: