সকল শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিন নিশ্চিত করে স্কুল কলেজ খুলে দেওয়া, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভ্যাট প্রত্যাহার, করোনা পরিস্থিতিতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলতি বছরের বেতন-ফি মওকুফে বাজেটে বরাদ্দ দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট শহর শাখা।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) বেলা ১১ টায় শহরের ২নং রেলগেইটে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট শহর শাখার সংগঠক রিনা আক্তারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সুলতানা আক্তার, শহর শাখার সংগঠক সাইফুল ইসলাম,অর্পিতা গোপ প্রমূখ।
মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে হচ্ছে আমাদের দেশের মানুষকে। এর মধ্যে চরম অনিশ্চয়তা ও ক্ষতির শিকার হয়ে দিনযাপন করছে প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের প্রায় সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থী ও ৫০ লাখ শিক্ষক। কবে স্কুল কলেজ খুলবে তা নিয়ে শিক্ষার্থীরা ধোঁয়াশায়।
দেশে সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি। এর প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনই আজ বির্পযস্ত ও অনিশ্চিত। আজকে এই অনিশ্চিত জীবন থেকে রক্ষা পেতে আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নিচ্ছে। করোনার প্রভাবে ব্যাপক শিক্ষার্থী ঝড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, বেড়েছে বাল্যবিয়েও।
এসজিডি বাস্তবায়নের নাগরিক প্লাটফরম পরিচালিত এক জরিপে ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার তথা উঠে এসেছে। অন্যদিকে গত ৩ জুন আমাদের দেশের সরকার ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছে।
কিন্তু সেই বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ১১.৯১ শতাংশ যা জিডিপির ২.০৮ শতাংশ। প্রকৃতপক্ষে শিক্ষাখাতে বাজেট কমেছে। অথচ এই করোনা মহামারিতেও শিক্ষা নিয়ে কোন ধরনের রোড ম্যাপ সরকার করেনি। শিক্ষামন্ত্রী বলছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলার পক্ষে মত বেশি আছে।
তাহলে রাজপথে যারা শিক্ষা প্রতষ্ঠান খোলার দাবি করছে তারা কারা। অন্যদিকে শিক্ষাকে পণ্যে পরিনত করেছে, টাকা যার শিক্ষা তার এই নীতিতে চলছে শিক্ষাব্যবস্থা। এই নীতিতে যদি চলতে থাকে তাহলে অসংখ্য শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন থেকে ঝড়ে পড়বে।
নেতৃবৃন্দ শিক্ষা ও স¦াস্থ্য সমন্বয় করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জীবজগৎতে উদ্ভিদ ও প্রাণি একে অপরের উপর নির্ভরশীল। ঠিক তেমনি শিক্ষা ও স¦াস্থ্য এক অপরের উপর নির্ভরশীল। সুস্থ্যতা ছাড়া শিক্ষা লাভ হবে না। আবার শিক্ষাহীন সুস্থ্যতা সমাজের কাম্য নয়।
শিক্ষাজীবন বাঁচাতে আজ তাই অতি দ্রুত সকল শিক্ষার্থীদেরকে ভ্যাকসিনের আওতায় এনে স্কুল-কলেজ খুলে দিতে হবে। নেতৃবৃন্দ শিক্ষার্থীদের বেতন-ভাতা মওকুফ, সরকারের তরফ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের আর্থিক প্রণোদনা প্রদান এবং শিক্ষার্থীদের বাসাভাড়াÑমেসভাড়া মওকুফে বাজেটে বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানান।