নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বৃহস্পতিবার,

২৫ এপ্রিল ২০২৪

সংসদীয় কমিটির সুপারিশের প্রতিবাদে মানববন্ধন

কোন দিন জানি বলে বসেন নারী স্পীকার মানি না, প্রধানমন্ত্রী মানি না

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০৫:৪৬, ১৮ জুন ২০২১

কোন দিন জানি বলে বসেন নারী স্পীকার মানি না, প্রধানমন্ত্রী মানি না

কোন দিন জানি এরা বলে বসেন আমরা নারী স্পীকার মানি  না, নারী প্রধানমন্ত্রী মানি না। এই আশঙ্কা করছি, এটা কিন্তু সন্দেহমূলক কিছু না এটা হতে পারে। অসম্ভব কিছু না। কাজেই আমাদের এখনি সাবধান হতে হবে। 

 

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুরপর গার্ড অব অর্নার দেয়ার ক্ষেত্রে নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিকল্প পুরুষ কর্র্মকর্তা নির্ধারনের অসাংবিধানিক ও অগ্রহনযোগ্য সুপারিশের প্রতিবাদে মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেছেন।   

 

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে জেলা মহিলা পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নারায়রনগঞ্জ জেলার সভাপতি লক্ষ্মী চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ সুজাতা আফরোজের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি আঞ্জুমনারা আকসির, নারায়নগঞ্জ জেলার লিগ্যাল এইড সম্পাদক সাহানারা বেগম, আন্দোলন সম্পাদক শোভা সাহা, সংগঠন সম্পাদক প্রিতীকলা দাস, ভার প্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক রহিমা খাতুন, জেলা সহ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষন সম্পাদক  রীনা আহম্মেদ, সদস্য নীলা আহম্মেদ নিশি, সদস্য সুমি সাহা প্রমুখ।

 


মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হতবাক হয়ে যাই আমাদের বাংলাদেশে এ পর্যন্ত নারীর উন্নয়নে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সারা বিশ্ব থেকে অনেক পদক আমরা পেয়েছি। এবং সে পদকে সারাদেশ গর্বিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে আমরা সে পদক পেয়েছি। আজকে জাতীয় সংসদে যে ধরনের বক্তব্য রাখা হয় এতে বোঝা যায় যে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য কি ধরনের রাজনীতিবিদরা আছেন, রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গেলে রাষ্ট্রীয় যে ইতিহাস সে ইতিহাসকে গভীরভাবে আত্মস্থ করতে হয়। 


বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কর্তৃক যে বিষয়টি আজ সংসদে উঠেছে নারীরা অর্থাৎ নারী কর্মকর্তারা বীর, টিএনও মুক্তিযোদ্ধাদের ”গার্ড অব অর্নার” প্রদান করতে পারবে না।

 

আজ বাংলাদেশে জেলা প্রশাসক হিসেবে অনেক নারী কর্মরত রয়েছেন,  বাংলাদেশের মেয়েরা হিমালয় পর্বত জয় করেছে, ১৬ জন নারী নাবিক গভীর সমুদ্রে জাহাজ চালাচ্ছে, আমাদের দেশের মেয়েরা পাইলট, আমাদের দেশের মেয়েরা বিজ্ঞানী, আপনারা বিভিন্ন মিডিয়াতে দেখেছেন আমাদের দেশের নারী বিজ্ঞানীরা করোনা নিয়ে রিসার্চ করছে এই করোনার উপরে দেশ বিদেশে। বাংলাদেশের ৫০বছর পূূর্তির যে উন্নয়ন করেছে নারীরা তাদেরকে নববধূ বানানোর যে পায়তারা তা বাস্তবায়ন করতে দেয়া যাবে না।


কোন দিন জানি এরা বলে বসেন আমরা নারী স্পীকার মানি  না, নারী প্রধানমন্ত্রী মানি না। এই আশঙ্কা করছি, এটা কিন্তু সন্দেহ মূলক কিছু না এটা হতে পারে। অসম্ভব কিছু না। কাজেই আমাদের এখনি সাবধান হতে হবে। আমরা বলতে চাচ্ছি সারা বাংলাদেশের নারী সমাজ রুখে দাঁড়াবে শুধু বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নয়। এ বিল প্রত্যাহার করতে বলছি। নইলে এ আন্দোলন আরো দূর্বার হবে।