নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বুধবার,

২৪ এপ্রিল ২০২৪

শিমরাইল মোড়ে উচ্ছেদের পরও চাঁদা নিতে আসে ভাতিজা বাহিনী

নারায়ণগঞ্জ টাইমস:

প্রকাশিত:০৫:০৩, ১৮ মে ২০২২

শিমরাইল মোড়ে উচ্ছেদের পরও চাঁদা নিতে আসে ভাতিজা বাহিনী

সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ের দক্ষিন পার্শ্বে আবারো উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিনের সড়ক দখল করে অবৈধ দোকান-পাট গড়ে উঠে। ওই সব দোকান থেকে নাসিক ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলের নিয়োজিত লোকজন চাঁদা উঠায়। কাউন্সিলর বাদল সাতখুন মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী নুর হোসেনের ভাতিজা। এই ভাতিজা বাহিনীর চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে সড়ক দখল করার কারণে আদমজী থেকে ঢাকা মুখি যানবাহনের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে শিমরাইল মোড়ের দক্ষিন দিকে নিত্যদিন যানজটের কবলে পড়ে দুর্ভোগের শিকার হয় যাত্রী সাধারণ।


মঙ্গলবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে করে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ের দক্ষিন দিকের সেই সড়ক দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে নারায়ণগঞ্জ সওজ কর্তৃপক্ষ। উচ্ছেদ অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পথচারী ও যাত্রী সাধারণ।


নারায়ণগঞ্জ সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন শামীম বলেন, আদমজী ইপিজেড সড়কে যানজট মুক্ত রাখতে শিমরাইল মোড়ের সার্ভিস লেনে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।


এরআগেও আমরা একাধিক বার উচ্ছেদ পরিচালনা করেছি। কিন্তু বার বার হকাররা সড়কটি দখল করে নেয়। পুলিশ একটু অ্যাকটিভ হলে হকার মুক্ত ফুটপাত হলে সড়কটি যানজট মুক্ত হয়ে যাবে।


এদিকে শিমরাইল মোড়ে ফুটপাতের হকার বলেন, নারায়ণগঞ্জ সওজের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে আমাদের দোকান গুড়িয়ে দিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলের লোক চাঁদাবাজ ঈসমাইল, সোহাগ, আকতার, শামীম, ইকবালসহ আরো কিছু লোক এসে প্রতিদিনের ন্যায় আজকে চাঁদা চায়। তারা বলে ফুটপাত ভাঙ্গা থাকবেই তাতে আমাদের যায় আসে না কিন্তু তোমরা আমাদের টাকা দেও। এভাবে ফুটপাতের দোকানদারকে চাপ সৃষ্টি করে কাউন্সিলর বাদলের চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট। তাদের চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে শিমরাইল মোড়ের ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা। ফুটপাতের প্রতিটি দোকান থেকে ২৫০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করে কাউন্সিলর বাদলের চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট। দোকানদার চাঁদা দিতে দেরী হলে বা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে কাউন্সিলর বাদলের চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে ও মারধর করে।


এ বিষয়ে জানতে কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলের মোবাইলে ফোন দিয়েও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

সম্পর্কিত বিষয়: