ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের জালকুড়ি বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন পাগলা বাজারে যাওয়ার সড়কটিতে চলছে চাঁদাবাজি। মসজিদ, মাদ্রাসার উন্নয়নের নামে প্রতিদিন এ সড়কে চলাচলরত প্রতিটি অটোরিকশা, ব্যাটারি চালিত রিকশা হতে এ চাঁদা নেয়া হয়।
সূত্রে জানা যায়, জালকুড়ি বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন জালকুড়ি ছমিরউদ্দিন কমপ্লেক্স জামে মসজিদ ও গাউছুল আজম সুন্নি মাদ্রাসার উন্নয়নের নামে প্রতিদিন চাঁদা নেয়া হয়। প্রায় দুই শতাধিক অটোরিকশা এ সড়কে চলাচল করে বলে জানিয়েছেন অটোরিকশার চালকগণ। প্রতিটি অটোরিক্সা হতে ৩০ টাকা হারে চাঁদা নেয়া হয়।
বিগত ৬/৭ বছর যাবৎ এভাবেই মাদ্রাসা ও মসজিদের নামে চাঁদা নেয়া হয় বলে জানান তারা। অথচ এ সড়কে সরকারী কোন ইজারাও নেই। গাড়ির চালকগণ জানান, এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির মাধ্যমে এ চাঁদার টাকা উত্তোলন করা হয়। তবে কিভাবে ও কোথায় এ টাকা খরচ করা হয় সেটা তারা জানেন না।
চাঁদার টাকা উত্তোলন করার জন্য ইদ্রিস আলী নামে জনৈক ব্যক্তি দ্বায়িত্ব পালন করে থাকেন। তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এখানে ৭০/৮০ অথবা ১০০টি অটোরিকশা চলাচল করে। মূলত শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং এ সড়কে যারা চলাচল করে তাদের সুবিধার্থে এ টাকা নেয়া হয়। এর মধ্যে কিছু টাকা মসজিদ ও মাদ্রাসার উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করা হয়, কিছু টাকা ট্রাফিক পুলিশকে দেয়া হয়।
ইদ্রিস আলী আরো জানান, গড়ে প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকা জমা হয়। এরমধ্যে ৪০ হাজার টাকা মসজিদ, মাদ্রাসায় দেয়া হয়। তবে বাকী ২০ হাজার টাকা কোথায় খরচ হয় তিনি তা বলতে পারেননি। এমনকি ২০২১ সালের কোন চাঁদার রশিদও তারা দেখাতে পারেননি।