নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শনিবার,

২০ এপ্রিল ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে মামলা হলেও গ্রেপ্তার হচ্ছে না আসামীরা

নারায়ণগঞ্জ টাইমস:

প্রকাশিত:০২:৩৬, ৫ জানুয়ারি ২০২২

সিদ্ধিরগঞ্জে মামলা হলেও গ্রেপ্তার হচ্ছে না আসামীরা

সিদ্ধিরগঞ্জের নয়াআটি মুক্তিনগর এলাকায় নারী-পুরুষসহ একই পরিবারের ৩ জনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিদের গ্রেফতার করছেনা পুলিশ। মামলার আসামি হয়েও মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, জুয়া ও কিশোরগ্যাং লিডার সন্ত্রাসী হাতুড়ি বাহিনী এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরছে বলে বাদী পক্ষের অভিযোগ।

 

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মাদানীনগর এলাকার আনোয়ার হোসেন আনু ((৫০) তার স্ত্রী মোরশেদা বেগম (৩৭) ও ভাগিনা আবদুল্লাকে (৩০) চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে আহত করে মুক্তিনগর এলাকার সন্ত্রাসী লিটন ওড়ফে হাতুড়ি লিটন বাহিনী। সন্ত্রাসীরা মোরশেদা বেগমকে মারধরের পাশাপাশি শ্লীলতাহানি করে। পাশাপাশি মোরশেদার গলা থেকে ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, হাতে থাকা ১ ভরি ওজনের স্বণ্যের ব্যাচলেট, আনুর সাথে থাকা ব্যবসায়ীক কাজের ১ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

 

এ ঘটনায় মুক্তিনগর এলাকার মৃত রুস্তম আলীর ছেলে সন্ত্রাসী হাতুড়ি লিটনকে প্রধান করে ৭ জনের নাম উল্লেখ ও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে আহত মোরশেদা বেগম চিকিৎসা শেষে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে ৩ জানুয়ারি পুলিশ মামলা রুজু করেন। যার নং ২। ধারা-১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬/৩৫৪/১১৪ পেনাল কোড। ঘটনার পর থেকে হামলাকারীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মামলা না করার জন্য বিভিন্ন হুমকি ধমকি প্রদান করে। মামলা হলেও তারা এলাকা ছাড়েনি। দিব্বি ঘরে বেড়াচ্ছে। রহস্যজনক কারণে তাদের গ্রেপ্তার করছেনা পুলিশ।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাতুড়ি লিটন ও তার ভাই হিরণ এর নেতৃত্বে মুক্তিনগর এলাকায় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে উঠে। যুবরাজ (১৮), হাবিব (২২), নসু (৩২), সাইফুল (১৮) ও ইমরান (২১) এবানিহীর অন্যতম সদস্য। তারা এলাকা কিশোরগ্যাং বাহিনীও গঠন করে। এবাহিনী মাদক ব্যবসা, জুয়ার আসর, চাঁদাবাজিসহ বীর দর্পে নানা অপকর্ম করছে। বাহিনী প্রদান দাম্ভিকতার সাথে বলে মামলার ভয় করিনা। পুলিশ আমার কিছু করতে পারবেনা।

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হাতুড়ি লিটনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এর আগেও ১০ টি মামলা হয়েছে।  যার নং -৭০(২৭ আগস্ট ২০১৭),  ১৯(১২ সেপ্টেম্বর ২০০৮), ৬ (৫ মার্চ ২০০৭), ৪৬(২৯ অক্টোবর ২০০৬), ১২ (৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৫), ৫ (২৮ অক্টোবর ২০১৫), ২২ (১৭ এপ্রিল ২০০৯), ২০ (১৬ মে ২০১৬), ৩৬(২০ নভেম্বর ২০১৪) ও  ৩৬(২০ নভেম্বর ২০০৬)। সবগুলো মামলাই বিচারাধিন রয়েছে বলে জানা গেছে।

সম্পর্কিত বিষয়: