সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) জাহাঙ্গীর আলম রাসেলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় স্ত্রীকে মর্যাদা ও ভরণ-পোষণ না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সোনিয়া আক্তার।
বুধবার সকালে রেজিষ্ট্রি ডাকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যের ডিজি বরাবর অভিযোগ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অভিযোগের অনুলিপি নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, সোনারগাঁওয়ের ইউএনও এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছেন সোনিয়া আক্তার। এর আগে, সোনারগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
অভিযোগে সোনিয়া আক্তার উল্লেখ করেন, ছয় বছর আগে অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে যান তিনি। তখন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার জাহাঙ্গীর আলম রাসেল নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে তার ছেলের চিকিৎসা করেন।
ওই সময় তিনি কৌশলে সোনিয়ার মোবাইল নম্বর নেন। ২-৩ দিন পর তার ছেলের সুস্থতার খবর নিতে কল করেন রাসেল। এভাবে কয়েকদিন কথা বলার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সখ্যতা গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর আলম রাসেল ও সোনিয়া আক্তার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন।
পরবর্তীতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ড বয় মোস্তাফার বাড়িতে গিয়ে মসজিদের ইমামের মাধ্যমে তারা বিয়ে করেন। সেই থেকে সোনিয়া বিয়ের রেজিস্ট্রি করার কথা বললেই রাসেল নানা টালবাহানা করতেন ও ক্ষিপ্ত হয়ে ঝগড়ায় লিপ্ত হতেন।
স্থানীয়রা জানায়, উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার জাহাঙ্গীর আলম রাসেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা নারী রোগীদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করতেন। এরপর তাদের ব্ল্যাকমেইল করে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। তার প্রথম স্ত্রী জান্নাতুল কোবরা একই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকরি করছেন।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম রাসেল বলেন, সোনিয়া আমাকে ব্লাকমেইল করছে। তার সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।
সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. পলাশ কুমার সাহা বলেন, অভিযোগের অনুলিপি এখনো পাইনি। সত্যতা পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।