নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শুক্রবার,

২৯ মার্চ ২০২৪

মামুনুল হক কান্ড : নামের মিল থাকায় ১০ লাখ টাকা দাবী  

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০৩:১১, ২ জানুয়ারি ২০২২

মামুনুল হক কান্ড : নামের মিল থাকায় ১০ লাখ টাকা দাবী  

সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে হেফাজত নেতা মামুনুল হক কান্ডে পুলিশ ও পাবলিকের দায়ে করা সাতটি মামলায় এজাহার নামীয় আসামীর নামের সাথে মিল থাকায় ফজল হক নামে এক বৃদ্ধকে পুলিশ দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। এ হয়রানী থেকে মুক্তি চেয়ে কথিত সাংবাদিক নুরুন নবীর গ্রেফতার দাবী করে শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর অভিযোগ করেছে ওই বৃদ্ধ ফজল হক।


অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সোনারগায়ের কথিত সাংবাদিক নুরুন নবীর সঙ্গে বন্দেরা গ্রামের মৃত.ওহাদ আলী বেপারীর ছেলে বৃদ্ধ ফজল হকের পূর্ব বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধের জের ধরে মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানী ও আর্থিক ক্ষতি করতে নুরুন নবী প্রায় সময় পুলিশ নিয়ে ফজল হকের বাড়িতে গিয়ে খোজাখুজি করেন। 


এক পর্যায়ে ফজল হক বিষয়টি জানতে নুরুন নবীকে জিজ্ঞেস করেন কেন পুলিশ নিয়ে তার বাসায় যায়। উত্তরে নুরুন নবী বলেন, আপনার নামে রয়েল রিসোর্টে হামলা ভাংচুর ও মামুনুল হককে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে সাতটি মামলা হয়েছে। প্রতিটি মামলায় আপনি এজাহার নামীয় আসামী। 


এই মুহুর্তে গ্রেপ্তার হলে আপনি সহজে জামিন পাবেন না। অনেক দিন জেল খাটতে হবে। তবে উপায় আছে সবকয়টি মামলা থেকে আপনার নাম কেটে দেয়ার। এতে ফজল হক টাকার পরিমান জানতে চাইলে বিভিন্ন বিষয় দেখিয়ে দশ লাখ টাকা দাবী করেন। আর এ টাকা নেয়ার জন্য নানা ভাবে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে নুরুন নবী।


ফজল হক বলেন, নুরুন নবী সোনার গায়ের বিভিন্ন পেশার মানুষকে নানা ভাবে হয়রানী করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। সে কিসের সাংবাদিক তা কেউ জানেনা। তবে সে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়েই সাধারন মানুষকে হয়রানী করেন। নুরুন নবী আমার এক আত্মীয়র জমি দখলের চেস্টা করেন। এতে আমি প্রতিবাদ করায় সে আমার উপর ফুসে উঠে। মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখিয়ে আর্থিক ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে। 
তিনি আরো জানান, নুরুন নবীর দেয়া মামলার তথ্য জানতে রয়েল রিসোর্ট কান্ডে দায়ের করা সাতটি মামলার নকল উঠিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জানতে পারেন তাদের বন্দেরা গ্রামে ফজল নামে একজন আসামী আছে। তবে ওই ফজল সে নয়। তাদের একই গ্রামে বাড়ি হলেও এজাহার নামীয় ফজলের বাবার নাম বাহাউদ্দিন। আর প্রতিটি মামলায় ফজল ও তার ভাই সাগর আসামী। 


তারা এসব মামলায় গ্রেফতার হয়েছে। এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এবং নুরুন নবীর গ্রেপ্তার দাবী করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, পুলিশের আইজিপি, ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে অভিযোগ লিখিতভাবে জানিয়েছি।
 

সম্পর্কিত বিষয়: