নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শনিবার,

২০ এপ্রিল ২০২৪

ইদানিং নেতৃত্বের গুণাবলি না নিয়েও পদে চলে আসে : আইভী

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০২:১৫, ২ অক্টোবর ২০২২

ইদানিং নেতৃত্বের গুণাবলি না নিয়েও পদে চলে আসে : আইভী

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও  নারায়ণগঞ্জের সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের কয়টি মিটিং হবার কথা ছিলো কয়টি হয়েছে।

 

কি করার কথা ছিলো  কি করে নাই। এই বিষয় এখন মিডিয়ার সামনে কিছু বলতে চাই না। এবিষয় আপনি সবিই জানেন তারপরও বলবো আমাদের আরো বেশি গতিশীল নেতৃত্বশীল হওয়া উচিত।


আরো বেশি আমাদের নেতাকর্মীদের সাথে খোলামেলা কথা বলা দরকার। আমাদের সাথে নেতাকর্মীরা কি বলবে তাদের দুঃখ কষ্ট, আক্ষেপ করবে না পাওয়ার বেদনার  কথা বলবে। 


তাদের আস্বস্ত করতে হবে সকলেই আমরা পদ পাবো না সকলকে পদ দেয়া যাবে না। যার নেতৃত্বের গুণাবলি আছে সেই পদে আসতে পারে কিন্তু ইদানিং কিছু দেখা যাচ্ছে নেতৃত্বের গুণাবলি না নিয়েও পদে চলে আসে।
শনিবার (১ অক্টোবর) সকালে নারায়ণগঞ্জ ২ নং রেল গেট সংলগ্ন এলাকায় জেলা ও মহান নগর আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।


এসময় তিনি মির্জা আজমকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা যেহেতু মাঠে ঘাটে কাজ করি আমাদের অনেকের দুঃখ কষ্ট বলার জন্য আমাদের একটু সময় দিয়েন।  


সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলকে কেন্দ্র করে সম্মেলনের স্থান নিয়ে জটিলতা তৈরি হলে আওয়ামী লীগেরে সাংগঠনিকে সম্পদাক মির্জা আব্বাস কে উদ্দেশ্য করে মেয়র আইভী বলেন নারায়ণগঞ্জে প্রথম ২০০৫ সালে যুবলীগের সম্মেলন হয়। 


আমি তখন শহর পৌরসভার চেয়াম্যান হয়েছিলাম। সে দিন অনেকই বলেছিলো নারায়ণগঞ্জে সম্মেল করা যাবে না বিএনপি ক্ষমতায় নানা ধরণের কথা। আমি তখন নানক ভাইকে ও আজম ভাইকে আসার জন্য বলে ছিলাম মঞ্চ ডিআইটিতে হবে যাক যমক পূর্ণভাবে আপনাদের সম্মেলন হবে।   


সম্মেলনে আব্দুল কাদির সভাপতি ও অ্যাপভোকেট আবু হাসনানত মোহাম্মদ শহীদ বাদল সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।  সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে যুবলীগের সম্মেলন হয়ে ছিলো কেনো ? তখন আমরা বিরোধী দলে ছিলাম। বিরোধী দলে থেকে যদি আমরা ঐক্যব্ধ হতে পারি দল যখন ক্ষমতায় তাহলে কেনো আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে পারি না। কেনো আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে পারি না? 


কারণ আমাদের চাওয়া পাওয়া এতো বেশি হয়ে যায়। আমরা ভুলে যাই আমাদের অস্তিতের কথা। পাওয়ার জন্য আমরা অস্থির হয়ে যাই। আমরা  আমদের সেই চাওয়া পাওয়াকে সীমিত রেখে সম্মেলন করি।


এসময় তিনি আরো বলেন,  সম্মেলনে যাকেই নেতৃত্ব   নির্বাচিত করবেন সেই আমাদের জেলার নেতা। আপনি জানতে পেরেছেন কোথায় আমাদের নেতৃত্বে দূর্বলতা। আমরা মিটিং আসলে সবাই ঐক্যের কথা বলি তারপও আমরা কি করি সেই বিষয় জানতে হবে। সেই দিকনির্দেশনা দিতে হবে। 


নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘাটি, এই ঘাটিকে অথবা নারাণয়গঞ্জের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে যে ভাবে জামাত, বিএনপি ঘাপটি মেরে চুপচাপ আছে এবং কাদের ছত্রছায়া তারা এতো বড় স্পর্দা পায় সেটা আমাদের চিন্তা করা উচিত। 


নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই'র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলের সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগেল সদস্য আনোয়ার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ- ১ আসনের সাংসদ ও পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ( বীর প্রতীক ), নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী,  মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, সাবেক সাংসদ কায়সার হাসনাত, সাবেক নারী সাংসদ এড. হোসনে আরা বেগম বাবলী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাতীয় কমিটির সদস্য এড. আনিসুর রহমান দিপু, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু, আবদুল কাদির, আরজু রহমান ভূঁইয়া, এড. আসাদুজ্জামান আসাদ, আদিনাথ বসু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, ইকবাল পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুন্দর আলী, মীর সোহেল আলী, আবু সুফিয়ান, দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এড. নুরুল হুদা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নুর হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. নিজাম আলী, মহিলা সম্পাদিকা মরিয়ম কল্পনা, সদস্য হাজী শওকত আলী, এম এ রশিদ, মো. শাহজাহান ভূঁইয়া, মোজাহিদুল ইসলাম হেলো সরকার, হাজী আমজাদ হোসেন, খন্দকার আবুল বাশার টুকু, শামসুজ্জামান ভাষানী, মো. শহিদুল্লাহ, মতিউর রহমান, সাহাদাত হোসেন সাজনু প্রমুখ।