নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বুধবার,

২৪ এপ্রিল ২০২৪

রূপগঞ্জে দুই সড়কে ভয়াবহ যানজট

প্রকাশিত:২৩:৫২, ১২ এপ্রিল ২০২১

রূপগঞ্জে দুই সড়কে ভয়াবহ যানজট

করোনা ভাইরাসের ২য় ঢেউ মোকাবেলায় আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের খবরে বাড়িফেরা মানুষের চাপে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও গাজীপুর-চট্টগ্রাম এশিয়ান হাইওয়ে সড়কে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

 

সোমবার (১২এপ্রিল) সকাল থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে গাউছিয়া এবং গাজীপুর-চট্টগ্রাম এশিয়ান হাইওয়ে সড়কে মদনপুর থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত উভয় পাশে প্রায় ২০কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে যানজটে আটকেপড়া মানুষ চরম দূর্ভোগে পড়েন।

 

এসময় অনেককে প্রচণ্ড রোদের মধ্যে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কঠোর লকডাউনের খবরে অনেকেই যার যার বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। এতে করে সোমবার সকাল থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এবং গাজীপুর-চট্টগ্রাম এশিয়ান হাইওয়ে সড়কে গাড়ির চাপ রয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, এমনিতে যানজট আবার ভাড়া রাখছে দ্বিগুণ। মুড়াপাড়া কলেজের শিক্ষার্থী তানভির বলেন, যানজট যেমন তেমন ভাড়া হয়ে গেছে দ্বিগুণ। দ্বিগুণ ভাড়া দিয়েও গাড়ি পাচ্ছি না। ভূলতা ফ্লাইওভারের উপর যানজটে আটকে পড়া মদনুর থেকে আসা ট্রাক ড্রাইভার আক্তার হোসেন বলেন, মদপুর থেকে গাউছিয়া আসতে প্রায় ৩ঘন্টা লাগছে। বাকি রাস্তা যেতে না জানি কত সময় লাগে।

 

বাসযাত্রী মরিয়ম বলেন, করোনা ভাইরাসের শুরুতে এমন এক সপ্তাহের লকডাউনের কথা বলে সারা বছর কাটিয়ে দিয়েছে। তখন পরিবার নিয়ে বাড়ি যেতে খুব কষ্ট হয়েছিল। তাই এবার লকডাউনের আগেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। যাতে এখানে আটকে না থাকতে হয়।

 

সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের এক বাসের ভিতরে শেফালি বেগম নামে এক গৃহবধু কাছে জানতে চাইলে তিনি খোপ প্রকাশ করে বলেন, এই এলাকায় থাইকা কি করুম। গত বছর লকডাউনে দেকছি এখানকার স্থানীয়রাই ঠিকমতো অনুদান পায় নাই। আমরা গিয়েছি ভাড়াটিয়া বলে তাড়ায়ে দিয়েছে এবং বলছে তোমরা কি এ এলাকার ভোটার? কি আর করমু দেশেই যাইগা।

 

ভূলতা ট্রাফিক পুলিশের টিআই মনির বলেন, সকাল থেকেই আমরা যানজট নিরসনের জন্য ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে সড়কে কাজ করছি। কিন্তু অতিরিক্ত গাড়ির চাপে একটু পরই আবার ভয়াবহ যানজট শুরু হয়। শুধু গাউছিয়াই নয় ঢাকার আশপাশের সড়কগুলোতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। হঠাৎ করে এত মানুষ কোথা থেকে আসলো ভেবেই পাচ্ছি না! কঠোর লকডাউনের খবর শুনে মানুষ যেন বেপরোয়া হয়ে পড়েছে।