নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শনিবার,

২৭ এপ্রিল ২০২৪

নারায়ণগঞ্জে “ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি” পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু

প্রকাশিত:০৪:৪৩, ১৭ আগস্ট ২০২১

নারায়ণগঞ্জে “ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি” পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু

নারায়ণগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতালে “ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি” পরীক্ষার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এ চিকিৎসা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারে আসবে যা নারায়ণগঞ্জে একমাত্র এবং প্রথম।  


সোমবার (১৬ আগষ্ট) “ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি” পরীক্ষার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন কমিটির আহ্বায়ক জনাব মোঃ আজিজুল্লা, সদস্য সচিব মোঃ আইয়ুব আলি। 


উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতির ডা: শাহনেওয়াজ চৌধরী, সেক্রেটারী দেলোয়ার হোসেন চুন্নু, সদস্য মাজহার মাজুম, কাজী দলিল উদ্দিন দুলাল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উক্ত হাসপাতালের সকল চিকিৎসক ও কর্মচারীবৃন্দ।


গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে “ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি” নিয়ে বিস্তারিত জানান, আহ্বায়ক, মো. আজিজুল্লা, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি প্রকল্প ।

 

এবিষয়ে প্রশ্ন ও উত্তর পাঠকের জন্য হুবুহু প্রকাশ করা হলো :

চোখের রেটিনার সমস্যাগুলো কী?

ডায়াবেটিস রেটিনোপ্যাথি রেটিনার গুরুতর সমস্যা। চোখের একটি স্পর্শকাতর জায়গা হলো রেটিনা। ডায়াবেটিস রেটিনোপ্যাথি, হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথি, রেটিনা ডিটাচমেন্ট ইত্যাদি রেটিনার বিভিন্ন সমস্যা। 


রেটিনার বিভিন্ন রোগের বিষয়ে একটি টেলিভিশনে নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৪০৯ তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মোমিনুল ইসলাম বর্তমানে তিনি ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেটিনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও পরামর্শক হিসেবে কর্মরত। 


প্রশ্ন: রেটিনায় কী,এর কাজ কি ? 

উত্তর: চোখের রেটিনা হলো চোখের স্পর্শকাতর একটি জায়গা। এটি চোখের সবচেয়ে পেছনে থাকে। এতে দশটি লোয়ার রয়েছে। এখানে আলোটা পড়ে, আলোটা থেকে ছবি তৈরি হয়ে স্নায়ুর মাধ্যমে আমাদের মস্তিষ্কে যায়। আমরা তখন দেখতে পারি।

রেটিনা খুব স্পর্শকাতর। এখানে যখনই কোনো সমস্যা হয়, তখন মানুষের দৃষ্টি প্রথমে কমে যায়। এটি তাড়াতাড়ি হতে পারে। আবার ধীরে ধীরেও হতে পারে। 


প্রশ্ন: রেটিনায় কী কী সমস্যা হয়?

উত্তর: আসলে রেটিনার অনেক ধরনের সমস্যা নিয়েই রোগীরা আসে। রোগীর যদি ডায়াবেটিস থাকে, তাদের ডায়াবেটিসের কারণে ডায়াবেটিস রেটিনোপ্যাথি হয়। যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে, তাদের ডাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথি হতে পারে।

৬০ থেকে ৭০ বছরের পর ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনেকে মাইনাস পাওয়ারের চশমা পড়ে। রিফ্ল্যাকটিভ এরোর বলে। 


মায়োপিয়ার কারণে রেটিনাতে কিছু দুর্বল পায়গা থাকে, এসব দুর্বল জায়গা কখনো ছিঁড়ে গিয়ে রেটিনা ডিটাচমেন্ট হতে পারে। আর বর্তমানে যেটি বেশি পাচ্ছি, অপরিণত নবজাতক শিশুদের রেটিনোপ্যাথি ফর প্রিমেচিউরিটি।