নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

মঙ্গলবার,

১৯ মার্চ ২০২৪

বন্দরে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে, ধর্ষিতার আত্মহত্যা

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০১:১২, ৭ জুন ২০২২

বন্দরে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে, ধর্ষিতার আত্মহত্যা

নারায়ণগঞ্জে ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করায় ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ায় ক্ষোভ আর লজ্জায় আত্মহত্যা করেছে ধর্ষিতা এক যুবতী। তার নাম রূপা আক্তার (২২)। 

 


ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (৬ জুন) সকালে বন্দরের বালিগাঁও এলাকায়। এ ঘটনার ৪ দিন আগে গত ২ জুন ধর্ষণের শিকার যুবতীর মা মর্জিনা বেগম বাদি হয়ে ধর্ষক নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

 

মামলা দায়ের করায় ধর্ষক নুরুল আমিনের স্ত্রী শ্যামলী বেগম ও ভাগ্নে মোঃ ইব্রাহিম ধর্ষণের ভিডিও রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক নুরুল আমিন, তার স্ত্রী শ্যামলী বেগম ও ভাগ্নে মোঃ ইব্রাহিম পলাতক রয়েছে। ধর্ষক নুরুল আমিন বালিগাঁও এলাকার মৃত জামির খানের ছেলে।  

 


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দিনমজুর রওশন জামিল ও মর্জিনা বেগমের মেয়ে রূপা আক্তারকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে নুরুল আমিন। রুপার বাবা মা কাজের জন্য বাড়ির বাইরে চলে গেলে সেই সুযোগে নুরুল রুপা বাড়িতে গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং তার ভিডিও ধারণ করে রাখে। সর্বশেষ গত ২২মে সকাল পৌনে ১১টায় রুপার বাবা মা কাজে চলে গেলে নুরুল আমিন রুপার বাসায় গিয়ে আবারও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। ওই সময় রূপা তাকে বিয়ের কথা বললে নুরুল আমিন টালবাহানা শুরু করে। 

 


ঘটনাটি রূপা তার মাকে জানালে তার মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে গত ২ জুন নুরুল আমিনকে আসামী করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে।

 


এদিকে মামলা দায়েরের জেরে ধর্ষক নুরুল আমিনের স্ত্রী শ্যামলী বেগম ও তার ভাগ্নে ইব্রাহিম গত রোববার ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। 

 


বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, পুলিশ ধর্ষক নুরুল আমিন এবং ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া ২ জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। 

সম্পর্কিত বিষয়: