নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পাশে একটি কম্পিউটারের দোকানে একটি অভিযোগের আবেদন লিখাতে গিয়ে সুজন মিয়া নামে এক ভুক্তভোগীকে গুনতে হয়েছে ৫শ’ টাকা।
সেই সাথে উপহার হিসেবে পেয়েছেন কম্পিউটার দোকানির অসদাচরণ ও অপমান। ঘটনাটি ঘটেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কম্পাউন্ডের পাশেই গড়ে উঠা ব্রাইট কম্পিউটার নামে একটি কম্পিউপটারের দোকানে। দোকান মালিক নিজেই এ ঘটনায় জড়িত।
এদিকে থানার সন্নিকটেই এমন অপরাধ নিয়মিত ঘটলেও পুলিশ বলছে বিষয়টি তাদের জানা নেই।
জানাগেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ, জিডি, মামলাসহ বিভিন্ন আবেদন লেখাকে কেন্দ্র করে থানার পাশেই গড়ে উঠেছে একাধিক কম্পিউটার দোকান।
এগুলো পরিচালিত করেন থানার রাইটারা। ভুক্তভোগীরা থানায় কোনো অভিযোগ, জিডি ও মামালা বা কোনো আবেদন নিয়ে গেলেই থানার ডিউটি অফিসার ও হেল্পডেক্সে দায়িত্বরা নানা অজুহাত দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের ওইসব রাইটারদের কম্পিউটার দোকানে পাঠান।
বাধ্য হয়েই ভুক্তভোগীরা ওইসব দোকানে গিয়ে উচ্চমূল্যগুলে তাদের প্রয়োজনীয় আবেদন লিখান। আবার অনেক ভুক্তভোগীদের টাকা দিয়ে লেখার সামার্থ্য না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে নিজেরা হাতে লিখে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার আবেদন লেখা সঠিক হয়নি বলে ফিরিয়ে দেন।
এরফলে অনেক সাধারণ ভুক্তভোগী প্রয়োজনে আইনের সহায়তা না নিয়েই ফিরে যান। এতে আইনের অধিকার করে বঞ্চিত হয়ে নীরবে সকল অন্যায় অত্যাচার মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
অভিযোগ রয়েছে, ওইসব কম্পিউটারের দোকানের সাথে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অধিকাংশ কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে। বিশেষ করে ডিউটি অফিসার ও হেল্পডেক্সে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সাথে প্রতিনিয়ত তাদের যোগাযোগ রয়েছে।
ব্রাইট কম্পিউটারের মালিক রিপনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি উল্টো গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে উত্তেজিত হয়ে বলেন, অভিযোগ লিখতে ৫শ’ টাকা করে নেই। পুলিশ ও জানে তারাই কথা বলে পাঠায়।
এবিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক বলেন, এটি খুবই দু:খ জনক। বিষয়টি আগে কেউই জানায়নি। এখনই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।