সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রাজু (৪৭) বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১৪ জুলাই) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সারোয়ার কাদেরী নামের এক ব্যবসায়ী এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে মাঝে মধ্যেই নানা অপকর্মের কারণে সংবাদ শিরোনাম হন গুনধর এই স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা। দলের কার্যক্রমের ভাটা পড়লেও তার ধান্ধাবাজি ভালোই চলছে। এমন অভিযোগ দলীয় নেতাকর্মীদের।
অভিযোগের সূত্রমতে, সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার জমি ব্যবসায়ী সারোয়ার কাদেরী মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) হাজেরা মার্কেটের দক্ষিণে বিক্রির জন্য ১০ কাঠা জমি এক ক্রেতাকে দেখাচ্ছিলেন। এমন সময় আমিনুল হক রাজু, তার সহযোগী আল আমিন, দেলোয়ার হোসেন দোলন এবং আজিজ মিয়া তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলেন, আমিনুল হক রাজু এবং তার সাথী ছাড়া অন্য কেউ এই এলাকায় জমি কেনাবেচা করতে পারবে না। করলে তাদেরকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। তাদের এই প্রস্তাব অস্বীকার করলে ওই ব্যবসায়ীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়।
তবে চাঁদা দাবির বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করেছেন আমিনুল হক রাজু। তিনি দাবী করেন, তিনি কারো কাছে কোনো চাঁদা চাননি। এবং সারোয়ার কাদেরী নামে কোনো ব্যক্তিকে চিনেন না।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান জানান, সারোয়ার কাদেরী নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে এলাকাবাসী জানায়, নাসিক ২নং ওয়ার্ডের একটি ভুমিদস্যু সিন্ডিকেটের হোতা হচ্ছে আমিনুল হক রাজু। সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাংরোড রেন্ট-এ কার স্ট্যান্ডের হোতাও সে। স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজির বড় অংশ যায় তার পকেটে। এছাড়া মিজমিজি টিসি রোড ও মিজমিজি পুর্বপাড়া পাগলাবাড়ি এলাকার একটি চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি গ্রুপের সাথেও তার সখ্যতা রয়েছে। ওই গ্রুপের কোন সদস্য গ্রেপ্তার হলে তদবিরে নামে আমিনুল হক রাজু। তদন্ত করলে রাজু গংয়ের নানা অপকর্মের চিত্র বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।