
নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসন থেকে সাবেক যুবদল নেতা, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ক্রীড়া সংগঠক মাসুদুজ্জামান মাসুদ বিএনপি থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার (১৪ জুন) শহরের খানপুরের বরফ কল মাঠে ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে তিনি তার বক্তব্যে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন। এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি, জামায়াত ইসলাম, হেফাজতে ইসলাম, এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলন, সুশীল সমাজ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে ১৫ হাজার লোকের মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেন তিনি। দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে তিনি কুশল বিনিময় করেন।
মাসুদুজ্জামান বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন তথা সদর ও বন্দর বাসির সেবায় কাজ করতে চাই। আমি কখনো অন্যায়কে আশ্রয়, প্রশ্রয় দেই নাই। আমি প্রতিহিংসা নয় মানুষকে ভালোবাসা দিয়ে নারায়ণগঞ্জ তথা সদর ও বন্দরের মানুষের সেবা করতে চাই।
নারায়ণগঞ্জের মানুষ দীর্ঘদিন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি ছিল। এখনো বিগত সময় যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে হাত ধরে রাজনীতি করেছে, তাদের কাছে এখনো মানুষ জিম্মি রয়েছে। এসব দূর্বৃত্ত, চাঁদাবাজদের কারণে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে আছে।
নারায়ণগঞ্জের মানুষ শিক্ষা, উন্নয়ন চায়। হানাহানি নয় শান্তিপ্রিয় সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি চায়। আপনাদের ভালোবাসা দোয়া পেলে আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করে যাব নারায়ণগঞ্জের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে। আমি নিজের উন্নয়নের জন্য নয়, সদর ও বন্দরের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চাই।
তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন, আমি একজন সমাজকর্মী, ক্রীড়া সংগঠক, সমাজসেবায় আমার নেশা। আমি বছরজুড়েই গোপনে এবং প্রকাশ্যে সব সময়ই চেষ্টা করেছি নিরীহ হতদরিদ্র মানুষের পাশে থাকতে।
আমার কোন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি বাহিনী নাই। রাজনীতিতে আলোচনা, সমালোচনা এবং মত দ্বিমত থাকবেই। এসব না থাকলে মানুষ কখনো শুধরাতে পারে না। আমি সুন্দর বসবাসযোগ্য, সন্ত্রাস মুক্ত, চাঁদাবাজ মুক্ত এবং মাদক মুক্ত নারায়ণগঞ্জ গড়ে তুলতে চাই। এক্ষেত্রে আপনাদের সকলকে পাশে চাই এবং দোয়া চাই।
তিনি বলেন, আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে লন্ডনে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এই বৈঠক সব আশঙ্কার অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
সমগ্র বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সংযোগ ঘটিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে নির্বাচন আয়োজনে ঐকমত্যে পৌঁছানোর একটি সফল আলোচনা হয়েছে। যার দিকে তাকিয়ে ছিল পুরো জাতি। এই আলোচনাকে অভিনন্দন এবং স্বাগত জানাই।