
প্রতিটি সমাজেই একটি মসজিদ একজন ঈমাম ও মুয়াজ্জিন আছে। তবের বেশির ভাগ মসজিদে ঈমাম থাকলেও মুয়াজ্জিনের সংখ্যা নগন্ন। আবার অনেক মসজিদে ঈমামের ঈমামতি দীর্ঘস্থায়ী হয় না। বিশেষ করে সমাজ ভিত্তিক বেসরকারি মসজিদ মাদ্রাসাগুলোর ঈমামগন।
কখনো সভাপতি কিংবা সেক্রেটারী, ক্যাশিয়ারের কথার অবাধ্য হলেই চাকুরী নিয়ে নড়বড়ে চলে। তবে সবার ক্ষেত্রে নয়। এমনও মসজিদ মাদ্রাসা আছে যে সকল ঈমামদের ঈমামতির চাকুরী যুগযুগ ধরে বহাল থাকে।
তাদের মধ্যে একজন হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ আবুল কাসেম। যিনি বন্দর উপজেলা ধামগড় ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডের কামড়াব কুচিয়ামোড়া বাইতুল নূর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ঈমাম। যিনি আরবি লেখাপড়া শেষ করেই অবিবাহিত জীবনে অত্র মসজিদে ঈমামতি'র চাকুরী নেন।
সূদীর্ঘ ৪৫ বছর চাকুরী জীবনে গত ১৩-০৬-২৪ইং পবিত্র শুক্রবার জুম্মা নামাজ আদায়ের মাধ্যমে ঈমামতির চাকুরী থেকে অবসর গ্রহন করেন। সমাজবাসী সহ এলসকার শত শত মুসল্লি ঈমামকে নতুন পায়জামা, পাঞ্জাবি, পাগড়ি,ফুল ও টাকার মাল্য সহ দেড় বছরের অগ্রীম বেতন দিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে বাড়ি পর্যন্ত পৌছিয়ে দেন। এসময় তিন কিলোমিটার রাস্তায় নারী পুরুষ দাড়িয়ে ঈমামকে হৃদয় বিদারক বিদায় জানান।
এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ৪৫ বছর অত্র মসজিদে চাকুরী করার সুবাদে আমি সমাজবাসীর পক্ষ থেকে যে মূল্যায়ন পেয়েছি তা ভূলবার নয়। দোয়া করি মহান আল্লাহপাক যেন সবাইকে হেদায়েত দান করেন।
সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন বলেন, আমি যেই ঈমামকে বিদায় জানাচ্ছি তিনি আমার শিক্ষক। তার অসংখ্য ছাত্র আছে যারা আজ দেশের গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। সাংবাদিক, সাহিত্যিক, রাজনৈতিক, সচিব থেকে শুরু করে অসংখ্য আলেম, মাওলানা, মুফতি উনার ছাত্র। আমরা দোয়া করি মহান আল্লাহপাক যেন ঈমামকে সুস্থ্যতার সহিত দীর্ঘ হায়াৎ নসীব করেন।
বিদায়ী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মসজিদ কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ তাওলাদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ সামসুদ্দোহা, মোহাম্মদ আলী, শেখ ফরিদ, ইয়াজউদ্দীন, শামিম সহ এলাকার মুসল্লিগন।