নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শনিবার,

১৪ জুন ২০২৫

সিদ্ধিরগঞ্জে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সোর্স ইকবালের ডাকাতি

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২২:২২, ১৩ জুন ২০২৫

সিদ্ধিরগঞ্জে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সোর্স ইকবালের ডাকাতি

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের সোর্স একাধিক মামলার আসামি ইকবাল দিন দিন বেপরোয়া উঠছে। থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুরো থানা এলাকা।

নানা অভিযোগে অভিযুক্ত পুলিশের সোর্স ইকবাল সুযোগ বুঝে থানার পাশ^বর্তী অন্য থানা এলাকাতেও নির্বিঘ্নে অপরাধ সংগঠিত করছে। 

গত বৃহস্পতিবার (৫ জুন ) রাত সাড়ে নয়টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল ট্রাক স্টেশনের পাশে অবস্থিত রিভারভিউ রেস্টোরেন্টে পুলিশ পরিচয়ে দুর্র্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় নগদ ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও ৮টি মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পুলিশের সোর্স ইকবালকে প্রধান অভিযুক্ত করে অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের কা হয়। 

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত সাড়ে নয়’টার দিকে থানার শিমরাইল ট্রাক স্টেশনের পাশে অবস্থিত রিভারভিউ রেস্টোরেন্টে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে ওয়াকিটকি ও স্টিলের লাঠি হাতে ডাকাত দলের ১০/১২ জন অতর্কিত ভাবে হোটেলে প্রবেশ করে ম্যানেজারসহ স্টাফদের এলোপাথারী মারপিট করে তাদের শরিরে নীলাফুলা জখম করে এবং প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে চুপচাপ থাকতে বলে।

এসময় ডাকাত দল হোটেলের ক্যাশে থাকা নগদ ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকাসহ ম্যানের ও স্টাফদের কাছে থাকা ৮টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাদের ভিতরে আটক রেখে বাহির থেকে গেইট লাগিয়ে ডাকাতদল পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে ভিতরে আটক থাকা ম্যানেজার ও স্টাফদের ডাক চিৎকারে আশ পাশের সাধারণ লোকজন গেটের ছিটকিরি খুলে দিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জে মিজমিজি দক্ষিনপাড়া এলাকার হাফিজুল ইসলামের ছেলে একাধিক মামলার আসামী পুলিশের সোর্স ইকবাল।

গত আওয়ামীলীগ সরকারের সময় পুলিশের সাথেই গাড়ি, মোটরসাইকেল, হ্যান্ডকাফ নিয়ে আসামি ধরতে ঘুরে বেড়ানোর কারনে অনেকে তাঁকে পুলিশই মনে করে। বিভিন্ন জায়গায় নিজেই পুলিশ পরিচয়েও গ্রেপ্তারের নামে ফিটিং বানিজ্য করে বেড়ায়। 

সিদ্ধিরগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় রাতে চলাচলরত মানুষকে তল্লাশির নামে পকেটে ইয়াবা কিংবা গাঁজার পুরিয়া দিয়ে ফিটিং দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আবার কখনও কখনও মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়েও সে নিরপরাধ মানুষের অর্থকড়ি হাতিয়ে নেয়।

এছাড়াও পুলিশের সাথে আতাত করে ইকবাল বিভিন্ন এলাকায় মাদক সাপ্লাই দিয়ে ধ্বংস করে দিচ্ছে উঠতি বয়সের যুবকদের ভবিষ্যৎ। 

একাধিক সূত্রমতে, সোর্স ইকবালের ভুয়া তথ্যে পুলিশ সদস্যদেরও অনেক সময় অনাকাক্ষিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। আবার অপরাধীদের নির্বিঘ্নে অপরাধ সংঘঠিত করে পার পেয়ে যায়। ইকবাল নাসিক ১, ২, ৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডের প্রতিটি এলাকায় দাবিয়ে বেরাচ্ছে।

বিশেষ করে নাসিক ৪ নং ওয়ার্ড শিমরাইল এলাকার প্রতিটি মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিদিন ৬টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত গড়ে ৫’শ থেকে ১’হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করে এবং পুলিশ আসার ভয় দেখিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এক কালিন ৫ থেকে ১০’হাজার টাকা আদায় করে।

পুলিশ অভিযানে আসার আগেই ইকবাল মাদক ব্যবসায়ীদের বলে দেয় পুলিশ আসতেছে এখন মাদক ব্যবসা বন্ধ কর, অন্যথায় ধরে নিয়ে গেলে আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহিনুর আলম অভিযোগের সত্যতা শিকার করে বলেন, খুব দ্রুত অপরাধীদের  আইনের আওতায় আনা হবে।