নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শনিবার,

০৪ মে ২০২৪

স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের মানববন্ধন

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২০:০২, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের মানববন্ধন

স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৪ ফেব্রুযারি) সকাল ১০ টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছিমা সরদারের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সদস্য তানজিলা আক্তার, জিহাদ হোসাইন। মানববন্ধনের পূর্বে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসে শহিদদের স্মরণে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। 

এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বৈরাচার এরশাদ শাসনের শুরুতে পাকিস্তানের শরীফ কমিশনের আদলে মজিদ খানের শিক্ষানীতি প্রণয়ন করে। এই শিক্ষানীতির মূল কথা ছিল ‘টাকা যার শিক্ষা তার’। সর্বজনীন, বিজ্ঞানভিত্তিক, সেক্যুলার, একইপদ্ধতির, গনতান্ত্রিক শিক্ষা এই বৈষম্যমূলক মজিদ খান শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। 

১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা ভবন ঘেরাও কর্মসূচিতে গুলি চালিয়ে ছাত্র হত্যা করে। শহিদ হন জাফর, জয়নাল, কাঞ্চন, দিপালি সাহা প্রমুখ। দেশব্যাপী প্রতিরোধের মুখে এরশাদ শাহী এ শিক্ষানীতি বাতিল করতে বাধ্য হয়। এর পর থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি  স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসাবে পালিত হয়। 

 স্বৈরাচারের পতন হয়েছে অনেক শাসকের পরিবর্তন হয়েছে, দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫২ বছর কিন্তু সেই পাকিস্তানের কুখ্যাত শরিফ কমিশন স্বৈরাচার এরশাদের কুখ্যাত মজিদ খান কমিশনের শিক্ষানীতির আদলে এখনো শিক্ষা চলছে। 

বর্তমানে শিক্ষাক্রম ২০২১ প্রনিত হয়েছে, এই শিক্ষাক্রমের মর্মবস্তু আর প্রত্যাখ্যাত সেই শিক্ষানীতিগুলোর সাথে তেমন কোন পার্থক্য নাই। এখনো শিক্ষার ব্যাপক বাণিজিৗকীকরণ চলছে এবং শিক্ষা বৈষম্য আরো অনেক বেড়েছে। 

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, শিক্ষা বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে, শিক্ষার সম্পূর্ণ আর্থিক দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল আকাঙ্খা ও স্বাধীনতার পরে ঐক্যবদ্ধ ছাত্র আন্দোলনে দাবী উত্থাপিত হয়েছিল সর্বজনীন, বিজ্ঞানভিত্তিক, সেক্যুলার, একইপদ্ধতির, বৈষম্যহীন, গনতান্ত্রিক শিক্ষার। 
নেতৃবৃন্দ ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগী মানুষের প্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে সর্বজনীন, বিজ্ঞানভিত্তিক, সেক্যুলার, একইপদ্ধতির, বৈষম্যহীন গনতান্ত্রিক শিক্ষা ও কারিকুলাম প্রণয়নের জোর দাবি জানান ।
 

সম্পর্কিত বিষয়: