নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

রোববার,

২২ জুন ২০২৫

সমাধানের আশ্বাস দিলেন পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান ও তিতাসের এমডি

আড়াইহাজারে গ্যাস সংকটে দেড় শতাধিক কারখানার উৎপাদন ব্যাহত

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:১৮:৪০, ২১ জুন ২০২৫

আড়াইহাজারে গ্যাস সংকটে দেড় শতাধিক কারখানার উৎপাদন ব্যাহত

আড়াইহাজারে তীব্র গ্যাস সংকটে দেড় শতাধিক শিল্প কারখানার উৎপাদনে ধস নেমেছে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কারখানার মালিকরা। গত তিন মাস ধরে গ্যাস সংকটের এ চিত্র বলে অভিযোগ তুলেছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

তারা বলছেন, কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) এবং ডিজেলচালিত জেনারেটরে খরচ বাড়ার কারণে বাড়ছে উৎপাদন ব্যয়। কমেছে উৎপাদন সক্ষমতা। দ্রুত এই পরিস্থিতি বদলাতে না পারলে লোকসানের পাল্লা আরও ভারী হবে।

এ পরিস্থিতিতে শনিবার (২১ জুন) সকালে আড়াইহাজারের দুপ্তারা ইউনিয়নের খানপাড়া এলাকায় অবস্থিত লিড প্লাটিনাম সনদপ্রাপ্ত সবুজ কারখানার স্বীকৃতি পাওয়া মিথিলা টেক্সটাইলের ওভেন ডাইং কারখানা পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশনের (পেট্রোবাংলা) চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান ও তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহনেওয়াজ পারভেজ।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান বলেন, আমি সরেজমিনে গ্যাস সরবরাহ দেখতে এসে গ্যাস সংকটের সত্যতা পেয়েছি। আমরা এই সংকট উত্তরণের জন্য কাজ করছি।

মিথিলা গ্রুপের চেয়ারম্যান আজহার খান জানান, গত বছরের অক্টোবরের পর থেকে গ্যাসের চাপ দিনের বেলায় শূন্য দশমিক ৫ থেকে ১ পিএসআই, আর রাতের বেলায় দেড় থেকে ২ পিএসআইয়ে নেমে আসায় কারখানা চালু রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

বর্তমানে উৎপাদনের পরিমাণ ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। কেবল গ্যাসের অভাবে অনেক বায়ারের অর্ডার নিতে পারছি না। যে কয়টা অর্ডার রয়েছে লোকসান হলেও বায়ারদের সঠিক সময়ে পণ্য সরবরাহের জন্য তিনগুণ বেশি ব্যয়ে গ্যাসের বদলে তুষ চালিত বয়লার ব্যবহার করা হয়। 

যদি স্বাভাবিক গ্যাস সরবরাহ থাকতো তাহলে প্রতি বছরে মিথিলা গ্রুপে প্রায় একশ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যেত। 

তিতাসের এমডি শাহনেওয়াজ পারভেজের কাছে গ্যাসের অস্বাভাবিক উঠানামার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। এ বিষয়টি দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান তিনি। 

তিনি বলেন, সারাদেশেই গ্যাসের সরবরাহ কম। অন্যদিকে যেখান থেকে গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে, আড়াইহাজার উপজেলা হচ্ছে সর্বশেষ প্রান্ত।

ফলে অন্য মিল কারখানাগুলো গ্যাস টানার পরে আড়াইহাজার এলাকায় এসে গ্যাসের চাপ তেমন থাকে না। সরকার এ সমস্যার উত্তরণে কাজ করছে।