নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শুক্রবার,

২৬ এপ্রিল ২০২৪

ফতুল্লায় দক্ষিণাঞ্চলের শীর্ষ সন্ত্রাসী রাজু গ্রেপ্তার হলেও অধরা উত্তরাঞ্চলের শামীম-মুজাহিদ

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০২:২১, ২২ নভেম্বর ২০২২

ফতুল্লায় দক্ষিণাঞ্চলের শীর্ষ সন্ত্রাসী রাজু গ্রেপ্তার হলেও অধরা উত্তরাঞ্চলের শামীম-মুজাহিদ

ফতুল্লা মডেল থানা সীমান্তের দক্ষিণাঞ্চলের শীর্ষ সন্ত্রাসী দেওভোগ কাশীপুর বাঁশমুলি এলাকার রাজু প্রধান গ্রেফতার হলেও  উত্তরাঞ্চলের শিয়াচর তক্কারমাঠ এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার শামীম এবং শহীদ নগর এলাকার মুজাহিদ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে রহস্যজনক থেকে যাচ্ছে অধরা। 


দলীয় নেতা এবং এক প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির সরাসরি শেল্টারের দীর্ঘদিন ধরে এলাকার সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। 


ভুক্তভোগী সূত্র জানায়, এদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একাধিক লিখিত অভিযোগ হলেও রহস্যজনক কারণে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। 


তথ্যনুসন্ধানে জানাগেছে, কাশিপুর বাঁশমুলি এলাকার রাজু প্রধানের চেয়ে বেশী ভয়ংকর এবং প্রভাবশালী তক্কারমাঠের যুবলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন জুয়েলের ভাতিজা সন্ত্রাসী শামীম। শামীমের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে প্রায় সহস্রাধিক কিশোর। নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে এসব কিশোরদের ব্যবহার করে থাকে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। 


এছাড়াও মাইছ্যা আলমকে দিয়ে মাদকের বড় একটি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে এই শামীম। গত সপ্তাহে সন্ত্রাসী শামীমের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একাধিক অভিযোগ হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী মহলের। 


অপর দিকে, কুতুবপুরের শহীদ নগর, তুষারধারা, গিরিধারার ত্রাস হিসেবে পরিচিত গাজী মুজাহিদের বিরুদ্ধেও সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ভুক্তভোগীরা এখন মুজাহিদকে ম্যানেজ করেই চলে। 


চেয়ারম্যান সেন্টুর সরাসরি শেল্টারে মুজাহিদ এলাকায় নানা ধরনের অপরাধ সংগঠিত করে থাকে। মুজাহিদ বাহিনীর কাছে কয়েক হাজার মানুষ জিম্মি। কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও চেয়ারম্যান সেন্টু তা আপোষ মিমাংসা করে দিয়ার দায়িত্ব নিয়ে থাকেন। 


শুধু চেয়ারম্যান সেন্টু নয়, মুজাহিদদের সাথে সরকার দলীয় একাধিক নেতা এবং প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সাথেও সখ্যতা রয়েছে।  ফলে তাঁর বিরুদ্ধে কেউ সাহস করে মুখ খুলছে না। 


ফলে দিনে দিনে মুজাহিদ বাহিনীর অপরাধের মাত্রা বেড়েই চলেছে।  এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভুক্তভোগী মহল।