সিদ্ধিরগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের দুই সক্রিয় সদস্যকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে জনতা। এসময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে দুটি দেশীয় অস্ত্র (একটি ধারালো ছুরি ও চাইনিজ কুড়াল) উদ্ধার করে।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায় ওই দুই ডাকাতকে আদালতে প্রেরণ করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। আটককৃত ডাকাতরা হলো- সিদ্ধিরগঞ্জের ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর আজিবপুর সর্দারপাড়া এলাকার মৃত সামছুল হকের ছেলে সারোয়ার হোসেন অপু (২৫) এবং নাসিক ৪নং ওয়ার্ডের আটি ওয়াপদা কলোনী এলাকার ভাড়াটিয়া মৃত সিরাজের ছেলে মো: পিয়াস (২১)।
এরআগে গত মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের আটি ওয়াপদা কলোনী বৌবাজার এলাকাবাসী তাদেরকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিপন সঙ্গীয় ফোর্স তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানায়, আটককৃতরা একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের সদস্য। এরা এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতি, চুরিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড করে থাকে। দীর্ঘদিন থেকে বন্ধকৃত মনোয়ারা জুট মিলের মেশিনপত্র ও মূল্যবান জিনিষপত্র পর্যায়ক্রমে লুট করে বিক্রি করছে।
গত সোমবার রাতে মনোয়ারা জুট মিলের মেশিনপত্র চুরি করে বিক্রি করার সময় স্থানীয়রা বাধা দেয়। পরে মঙ্গলবার পিয়াস অপুসহ ২০/২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিলের ওই মেশিন ও মালামাল বের করতে যায়। এ সময় তাদের আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয়া হয়।
এর আগে পিয়াসের স্ত্রী ও শাশুরি তাদেরকে জনতার হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেস্টা করে। এবং হুমকি দিয়ে থাকে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে শায়েস্তা করবেন।
ঘটনাস্থলে যাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন জানান, এলাকাবাসী অপু ও পিয়াসকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয়। এ সময় একটি ধারালো ছুরি ও চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়। পরে তাদেরকে ডাকাতির প্রস্তুতি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।