নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বৃহস্পতিবার,

০২ মে ২০২৪

বন্দরে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ২ ঘন্টা সড়ক অবরোধ

নারায়ণগঞ্জ টাইমস:

প্রকাশিত:১৮:১৭, ১৭ অক্টোবর ২০২৩

বন্দরে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ২ ঘন্টা সড়ক অবরোধ

চাকরি বহালের দাবিতে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে রাজ ফ্যাশন গার্মেন্টস শ্রমিকরা মদনগঞ্জ-মদনপুর  সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করে রাখে। এতে করে সড়কে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে। পরে পুলিশ ও শ্রমিক আন্দোলনের নেতারা এসে মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে শ্রমিকদের শান্ত করে এবং অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।

 

বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দরের নবীগঞ্জ কাইতাখালী এলাকায় অবস্থিত রাজ ফ্যাশনের শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে গত ২দিন যাবত কাজ বন্ধ করে বসে থাকে। শ্রমিকরা মালিক পক্ষকে জানায় তাদের সমস্ত পাওনা বুঝিয়ে দিতে তারা আর এ গামের্ন্টেসে কাজ করবে না। শ্রমিকদের চাপের মুখে মালিক পক্ষ গত সোমবার দুপুরে শ্রমিকদের সকল পাওনা বুঝিয়ে দিলে শ্রমিকরা চলে যায়। গতকাল শ্রমিক আন্দোলনের নেতা শফিকুল ইসলামের ইন্ধনে শ্রমিকরা সকালে গামের্ন্টের গেইটে এসে আন্দোলন শুরু করে। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ ও শ্রমিক আন্দোলনের নেতা শফিকুল ইসলাম এসে মালিক পক্ষের সাথে বৈঠক করে শ্রমিকদের সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিতে বাধ্য করে।

 

শ্রমিকদের দাবি হলো মালিক পক্ষ তাদের পাওনা বুঝিয়ে দিয়েছে কিন্তু কারখানা বন্ধ করতে হলে তাদের নোটিশ ও কমপক্ষে ৩ মাসের বেতন দিয়ে বের করতে হবে। নয়তো তাদের চাকুরিতে বহাল করতে হবে। এ দাবি আদায়ের জন্য তারা সড়ক অবরোধ করেছে।

 

শ্রমিক নেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের শ্রমিককে বাঁচাতে হবে সেই সাথে মালিকও বাঁচতে হবে। যেখানে শ্রমিকদের ক্রটি রয়েছে তাই শ্রমিকদের ক্রটি ক্ষমা করে মালিক পক্ষ তাদের পুনরায় চাকুরিতে বহাল করার অনুরোধ করলে মালিক অনুরোধ মেনে নিয়ে জানিয়ে জানিয়েছেন যেহেতু শ্রমিকদের কারণে আমার কাজ অন্যত্র চলে গেছে তাই নতুন কাজ আসলে তাদের পুনরায় চাকুরিতে নেয়া হবে।

আরও পড়ুন: বন্দরে স্বামী-স্ত্রীর আত্মহত্যা

এ ব্যাপারে গার্মেন্টস মালিক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি শ্রমিকদের বের করে দিতে চাইন। শ্রমিকরা স্বেচ্ছায় সকল পাওনা বুঝে নিয়ে চাকুরি ছেড়ে চলে গেছে। আর এ শ্রমিকদের কারনে আমার বায়ারও চলে গেছে। সময়মত বায়রদের কাজ দিতে পারিনি। তাই এখন কারখানা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। নতুন কাজ পেলে পুরাতন শ্রমিকদের কাজে নেয়া হবে।
 

সম্পর্কিত বিষয়: