সিদ্ধিরগঞ্জে বাসা ভাড়া নিতে গিয়ে এক গৃহবধূ (২৫) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলো- কদমতলী এলাকার মৃত নবী হোসেনের ছেলে মোঃ নাবিল হাসান পলাশ (৩৫) ও মৃত আওলাদ হোসেনের ছেলে মোঃ হৃদয় হোসেন রুবেল (২৯)। পলাতক রয়েছে কদমতলী গ্যাস লাইন এলাকার মোঃ রাকিব হোসাইন (৩৮) টেডি মফিজের ছেলে মোঃ মহসিন (২৮)।
ধর্ষিতার দায়ের করা মামলায় সোমবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরআগে রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে (নাসিক) ৭নং ওয়ার্ডের কদমতলী এলাকায় ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। ওই নারী নিজে বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তথ্যমতে, ধর্ষণের শিকার ওই নারী পূর্বে আদমজী ইপিজেডে অনন্ত অ্যাপারেলেন্স নামক একটি ফ্যাক্টিরতে চাকরি করতেন। বর্তমানে তিনি গৃহিনী। ভাড়া বাসা পরিবর্তনের জন্য নতুন বাসা খুঁজতেছিলেন। সেই লক্ষ্যে রোববার দুপুর সাড়ে ১১টায় বাসা থেকে বের হন তিনি। মামলার এক নম্বর আসামির রাকিব হোসাইনের সঙ্গে পূর্বে একই কারখানায় চাকরি করার সুবাদে পরিচিত তারা। তাই বাড়ি পরিবর্তনের কথা তার সঙ্গে শেয়ার করলে ফোনের মাধ্যমে ওই রাকিব জানান যে তার পরিচিত একটি খালি বাসা রয়েছে। ওই বাসাটি ভাড়া নিতে হলে দেখতে যেতে হবে।
পরবর্তীতে রাকিব হোসাইনের কথা অনুযায়ী ওই নারী তার সঙ্গে বাসা দেখার জন্যে কদমতলী পশ্চিমপাড়া খালপাড়স্থ আশরাফ উদ্দিনের বিল্ডিংয়ের একটি রুমে যান। কিন্তু সেখানে গেলে ঘটে ভিন্ন ঘটনা। আগে থেকেই বাকি তিন আসামি উৎপেতে বসে ছিলেন সেখানে। যখনই নারী ঘরে ঢুকলেন তারা ভেতর থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে প্রাণে মারার হুমকি প্রদান করে। একপর্যায়ে ওই নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে দুপুর ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আটক রেখে পালাক্রমে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় তাকে। পরে তাদের হাতে-পায়ে ধরে স্বামী ও সন্তানের কথা বলে কান্নাকাটি করলে ঘটে যাওয়া ঘটনা কাউকে না জানাতে বলে ছেড়ে দেওয়া হয় গৃহবধূকে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার (ওসি) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক জানান, ধর্ষণের মামলার দুই আসামিকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে।