নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শুক্রবার,

০৩ মে ২০২৪

সোনারগাঁয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ কৃষকদের স্মরণে সভা ও দোয়া 

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২০:২০, ১৬ মার্চ ২০২৪

সোনারগাঁয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ কৃষকদের স্মরণে সভা ও দোয়া 

১৯৯৫ সালের ১৫ ই মার্চ জামাত-বিএমপির জোট সরকারের আমলে ন্যায্য মূল্যে সার কিনতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত শহীদ কৃষকদের স্মরণে সোনারগাঁও উপজেলা কৃষক লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (১৬ মার্চ) বিকালে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা আওয়ামী লীগ পার্টি অফিসে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করা হয়। 

সোনারগাঁ উপজেলা শাখা কৃষক লীগের সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম খোকনের সঞ্চালনায় ও সোনারগাঁও উপজেলা শাখা কৃষক লীগের আহবায়ক মো:করিম আহম্মেদ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব মোঃ শাহজামাল খোকন। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, মোঃ আঃ সালাম সেলিম, মোঃ ইউসুফ মিয়া,মোঃ মাসুদ রানা,মোঃ আরাফাত আলী ও মোঃ সিরাজ মিয়াসহ সোনারগাঁও উপজেলা কৃষক লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী। 

এসময় আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মো: করিম আহম্মেদ  বলেন‘ বর্তমান সরকার কৃষি উন্নয়নে নানা ধরনের কৃষিবান্ধব নীতি ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। এখন লক্ষ্য হলো পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিতকরণ এবং কৃষিকে লাভবান করা।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদেরকে ভালোবাসেন। তিনি শিশুকাল থেকেই কৃষকদের দুঃখ-দুর্দশা দেখেছেন। তাই, তার নেতৃত্বে এ সরকার কৃষকদের সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে কৃষি পুনর্বাসন ও কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ কার্যক্রমের আওতায় বিনামূল্যে বিভিন্ন ফসলের বীজ ও রাসায়নিক সার সহায়তা দেয়া হচ্ছে। তা ছাড়া সরকার সারে ভর্তুকি দিচ্ছে।

আলোচনায় আরও বলেন, সমপ্রতি ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সারের দাম প্রতি কেজিতে ৯ টাকা করে কমিয়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ২৫ টাকা থেকে ১৬ টাকা করা হয়েছে। ফলে কোনো কৃষককে সারের জন্য আন্দোলন করতে হয় না। সারের জন্য জীবন দিতে হয় না। 

অথচ, বিএনপি সরকারের সময় এই সারের জন্য কৃষকদের আন্দোলন করতে হয়েছে জীবন দিতে হয়েছে। বিএনপি সরকারের সময় সারের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষক জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি করে ১৮ জন কৃষকে পাখির মত নির্মমভাবে হত্যা করেছিল।

দেশের মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারলে বিএনপি নেত্রীর যেমন কোন কিছু আসে যায় না, তেমনি বন্যায় মারা গেলেও তাদের কিছু আসে যায় না।বিএনপি নেত্রী প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন বন্যায় যত মানুষ মারা যাওয়ার কথা ছিল তত মারা যায়নি।তিনি বলেছিলেন দেশের খাদ্য ঘাটতি থাকা ভালো, না হলে বিদেশ থেকে ভিক্ষা আসবে না। বিএনপির শাসনামল ও তাদের নেত্রীর বক্তব্যেই স্পষ্ট দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোন ইচ্ছা ছিল না। 

শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরেই দেশকে কোথা থেকে কোথায় পৌঁছে  দিয়েছেন। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধু যে সোঁনার বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেই দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। 

যে কারণে শেখ হাসিনার ডায়নামিক নেতৃত্বের কাছে বিএনপির রাজনীতি হারিয়ে গিয়েছে। আপনারা দেশকে কোন জায়গায় রেখে গিয়েছিলেন আর এখন কোথায় আছে তা চোখ কান খুলে দেখুন। 

আমরা সোনারগাঁও উপজেলা কৃষকলীগ সংসদ সদস্য জননেতা আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত এর নেতৃত্বে সব সময় ঐক্যবদ্ধ।

উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার আমলে সারের দাবিতে আন্দোলন করায় ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়।
 

সম্পর্কিত বিষয়: