নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বুধবার,

০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বন্দরে আ’লীগ নেতার পরিত্যক্ত অয়েল মিলে চলছে লুটপাট, ট্রাক আটক

নারায়ণগঞ্জ টাইমস:

প্রকাশিত:২১:৫৯, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

বন্দরে আ’লীগ নেতার পরিত্যক্ত অয়েল মিলে চলছে লুটপাট, ট্রাক আটক

বন্দরের চৌরাপাড়া এলাকায় সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর মালিকানাধিন পরিত্যক্ত সূরুচি ভ্যাজিটেবল অয়েল মিলে এখনো লুটপাট চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

পুলিশ বুধবার লুটের মালামালসহ একটি ট্রাক আটক করেছে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর রাতে ব্যাপক লুটপাট শুরু হয়। এ দিন রাতভর মিলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটের ঘটনা ঘটে। 

বর্তমানে মালিক পক্ষের লোক পরিচয়ে মিলের পুরনো মেশিন পত্র, যন্ত্রপাতি, তেল সংরক্ষণের বিশালাকৃতির ট্রাংক, টিনের ছাউনী, ইট, কাঠ, দরজা -জানালা খুলে নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। 

চক্রটি সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর নাসিমের নাম ব্যবহার করে লুটপাট চালাচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানান। ৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত মিলের প্রায় শত কোটি টাকার মালামাল লোপাট হয়েছে বলে সূত্র জানায়।

এ ব্যাপারে সূরুচি ভ্যাজিটেবল ওয়েল মিলের কেয়ারটেকার পরিচয়দানকী আসাদ জানান, মালিক পক্ষের অনুমতি নিয়ে মেজর নাসিম ও ম্যানেজার রহমতের নেতৃত্বে পুরনো মাল সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।   মালিক পক্ষের কোনো অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি অনুমতির পক্ষের কোন প্রমাণ দেখাতে পারেননি।

সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর নাসিম মোবাইল ফোনে জানান, আমির হোসেন আমুসহ  সূরুচি ভ্যাজিটেবল ওয়েল মিলের ৪ জন পরিচালক রয়েছেন। এদের মধ্যে শেখ সজিব ও শেখ মুস্তাফিজ সম্পর্কে আমির হোসেন আমুর শ্যালক।  তারা দু’জন পুরনো যন্ত্রাংশ ও মালামাল বিক্রির অনুমতি দিয়েছেন। তাদের অনুমতি নিয়েই পুরনো মেশিন পত্র ও স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে।

এ ছাড়া আগের কেয়ারটেকার জাবেদ ৫ আগস্টের পর মিলের প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল সরিয়ে ফেলেছেন বলে জানান মেজর নাসিম।

সাবেক কেয়ারটেকার জাবেদ জানান, আমির হোসেন আমু বন্দরের চৌরাপাড়া এলাকায় বিআইডব্লিউটিসির কাছ থেকে ১০ একর জায়গা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নিয়ে ১৯৯১ সালে সুরুচি ভ্যাজিটেবল অয়েল মিল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনিই একক ভাবে মিলের মালিক। যারা মেশিনপত্র খুলে নিচ্ছে তারা মিলের কেউ নন।  

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও  বন্দর থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা বন্দর থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মেরাজ জানান, এরা একটি প্রতারক চক্র। সেনাবাহিনীর নাম ব্যবহার করে লুটপাট চালাচ্ছে।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, লুটপাটের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মালামাল সহ একটি ট্রাক আটক করা হয়েছে।