রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইজিবাইক স্ট্যান্ডে শ্রমিক সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে বাবুল নামে এক ব্যক্তি শ্রমিক সংগঠনের নামে প্রতিদিন চাঁদা উঠিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করছে । ইজিবাইক স্ট্যান্ডে রয়েছে বাবুলের শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট। প্রকাশ্যে এসব চাঁদাবাজি চললেও এ ব্যাপারে প্রশাসন অনেকটা নির্বিকার।
জানা গেছে, উপজেলার গোলাকান্দাইল বাবুলের স্ট্যান্ডে প্রায় ৮০টি ইজিবাইক। প্রতিদিন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গোলাকান্দাইল স্ট্যান্ড হইতে পাঁচরুখী পর্যন্ত চলাচল করে। প্রতিটি ইজিবাইক থেকে দৈনিক ১০০টাকা করে এবং মাসে টোকেনের জন্য ৫০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়।
এসব টাকা আদায় করার জন্য নির্ধারিত রয়েছেন কয়েকজন লাইনম্যান। ওই লাইনম্যানের হাতেই নির্ধারিত অংকের চাঁদার টাকা আদায় করা হয়। আবারও নতুন করে কোনো গাড়ি স্ট্যান্ডে আসলেই ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা বাবুলের কাছে জমা দিতে হয়। নির্ধারিত হারে চাঁদা পরিশোধ না করে কারো পক্ষে স্ট্যান্ড ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। চালকরা স্বেচ্ছায় চাঁদা দিতে না চাইলে তাকে হাইওয়ে পুলিশের রেকার দিয়ে আটক করা হয়।
নাম না বলার শর্তে এক চালক জানান, আমি এই স্ট্যান্ডে ইজিবাইক চালাই আজ অনেক দিন ধরে। ইজিবাইক চালাতে কি কাউকে চাঁদা দিতে হয়? এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি দৈনিক ১০০ টাকা করে চাঁদা দেই এবং প্রতিমাসে পুলিশ মান্তি ৫০০ টাকা করে দিতে হয়। কে নেয়? এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, বাবুল ভাইকে দিতে হয়।
এ বিষয়ে বাবুলের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, করোনা ভাইরাসের সময় কোনো চাঁদা নেওয়া হয়নি তবে এখন কিছু কিছু নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশের টিআই সালাউদ্দিন বলেন, চাঁদাবাজির বিষয়টি আমার জানা নেই তবে কেউ যদি চাঁদাবাজি করে তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।