নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

সোমবার,

২৯ এপ্রিল ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ শহরে রাতেও ভয়াবহ যানজট, ভোগান্তি (ভিডিও)

নারায়ণগঞ্জ টাইমস:

প্রকাশিত:২৩:০৪, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

যানজট যেন নিত্য সঙ্গী নারায়ণগঞ্জবাসীর। দিনে যেমন তেমন রাতেও রক্ষা পাচ্ছে না নগরবাসী। শহরের প্রধান সড়ক বঙ্গবন্ধু সড়কে দিনে ও রাতে পাল্লা দিয়ে যানজট লেগে থাকে। গত তিনদিন ধরে এমন চিত্র ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এতে ঘন্টার পর ঘন্টা অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হয় নগরবাসী। সন্ধার আগে পরে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ে রোগী সাধারণ। কারণ সন্ধার পর রোগী নিয়ে স্বজনরা হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে ছুটাছুটি করে। ডাক্তাররা সাধারণত বিকাল থেতে রাত ১০টা সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত রোগী দেখেন। তখন রোগীদের যাতায়াত বেড়ে যায় সড়কে। এছাড়া সারাদিন অকøান্ত পরিশ্রম শেষে অফিস গামী মানুষ বাসায় ফিরতে গিয়ে যানজটের কবরে পড়ে র্দুভোগের শিকার হচ্ছেন। রোগী নিয়ে এ্যামবুলেন্সের সাইরেন বাজতেই থাকে, কিন্তু কেউ শোনে এই সাইরেন। আবার শুনলেও কিছু করার নেই। কারণ যেভাবে যানজট লেগে থাকে এ্যামবুলেন্স যাবে কিভাবে?


সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সারাদিন থেমে থেমে যানজটের পর সন্ধ্যার পর ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গবন্ধু সড়কে। সরেজমিনে সন্ধ্যার দেখা যায় চাষাড়া গোল চত্তর থেকে কখনো গলাচিপা, কখনো ব্যাংকের মোড়, কখনো উকিলপাড়া পর্যন্ত যানজট ছড়িয়ে পড়েছে। রাত সাড়ে ১০টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় চাষাড়া গোল চত্তর থেকে নুর মসজিদ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সড়কে যানজট দেখা গেছে। নিত্যদিনের এমন চিত্র দৃশ্যমান হলেও সংশ্লিষ্টদের যেন কিছুই করার নেই। শুধু একে উপরের উপর দোষ চাপিয়ে দায় এড়ান তারা। অথচ ১৫ বছরের সিটি করপোরেশন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে যানজট নিরসে কার্যকরী কোন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেননি। ফলে নগরবাসীর র্দুভোগ লাঘবে যানজট নিরসে সিটি করপোরেশনের ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। 


অপরদিকে ট্রাফিক বিভাগও যানজট নিরসনে কার্যকরী কিছু করতে পারছে না। বরং মাসোহারা আদায়ে তারা বেশি ব্যস্ত বলে অভিযোগ নগরবাসীর। তাদের যোগসাজসে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবৈধ যানবাহন স্ট্যান্ড যানজট সৃষ্টিতে ভুমিকা রাখছে। চাষাড়া গোলচত্তর ব্যস্ততম পয়েন্ট হওয়ার পরও খাজা মার্কেটের সামনে অবৈধ লেগুনা স্ট্যান্ড, সুগন্ধার সামনে ইজিবাইক স্ট্যান্ড, জিয়া হলের সামনে রিকসা স্ট্যান্ড, শহীদ মিনার ঘেষে দুই দিকে সিএনজি স্ট্যান্ড, সমবায় মার্কেটের সামনে সিএনজি স্ট্যান্ড, কেন? এ নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও সংশ্লিষ্টরা নিশ্চুপ।


ঢাকার পল্টনে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরীজীবী ইফতেখার শাহরিয়ার অনেকটা ক্ষোভ নিয়েই বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গলাচিপায় রিকসা থেকে নেমে পায়ে হেটেই চাষাড়ায় আসলাম। কারণ জ্যামের মধ্যে বসে থাকলে মেজাজ খারাপ হয়ে যাবে। এভাবে কি শহরে চলা যায়? প্রতিদিনের এই যানজট থেকে কবে রেহাই পাবো, জানি না। তার মতো এমন প্রশ্ন হাজারো নগরবাসীর। 


সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য একটাই, এটা ট্রাফিক বিভাগে কাজ, এটা সিটি করপোরেশনের কাজ, এটা সম্মেলিতভাবে করতে হবে। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে সৃষ্টি হওয়া যানজট থেকে নগরবাসী কবে মুক্তি পাবে তার স্থায়ী সমাধনে নাসিককেই উদ্যোগ নিতে হবে, এমনটাই বলছেন ভোক্তভোগীরা।
 

সম্পর্কিত বিষয়: