
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার কারখানায় লুটপাট ও আগুন দিয়ে পুঁড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের লোকজন জড়িত আছে এমন বক্তব্য দেয়ায় বিএনপির কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও ঝাড়ু মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ডেমরা-কালীগঞ্জ সড়কে এই বিক্ষোভ কর্মসুচি পালন করেন চনপাড়া এলাকার তিন শতাধিক নারী পুরুষ।
এসময় বিক্ষোভ সমাবেশে তারা বিএনপি নেতা কাজী মনিরের বক্তব্য মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানান। কাজী মনিরকে চনপাড়া পূর্নবাসন কেন্দ্রে অবাঞ্চিত ঘোষণাও করেন তারা। অবিলম্বে বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে কাজী মনিরের প্রতি আহ্বান জানান চনপাড়াবাসি। অন্যথায় এর উচিত জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন চনপাড়াবাসী।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত দুইদিন আগে কাজী মনির রূপগঞ্জের রূপসি এলাকায় গাজী টায়ার কারখানায় লুটপাট ও আগুন দেয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় কাজী মনির বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিকদের বলেছিলেন এই কারখানায় নাকি চনপাড়া বস্তির লোকজন এসে লুটপাট করে আগুন দিয়ে গেছে।
বক্তারা কাজী মনিরের এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, কাজী মনির চনপাড়াবাসির প্রতি মিথ্যা অপবাদ দিয়েছেন। তার এই কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রত্রমূলক। এই নাশকতার ঘটনাকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে কাজী মনির রাজনীতির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। তিনি এটা খুবই অন্যায় কাজ করছেন।
এছাড়া চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রকে “চনপাড়া বস্তি” বলে মন্তব্য করে এখানকার বাসিন্দাদের কাজী মনির অপমান করেছেন। এটা কোনভাবেই আমরা মেনে নিরে পারছি না। এই বক্তব্যের জন্য কাজী মনিরকে অবিলম্বে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং তার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে কাজী মনিরের কুশপুত্তুলিকায় ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন চনপাড়াবাসি। পরে কুশপুত্তুলিকায় আগুন দিয়ে দাহ করে এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঝাড়ু মিছিল করেন তারা।