
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) বাঁধের অভ্যন্তরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে মোটা অংকের অর্থ খরচ করে পাম্পহাউস নির্মাণ করা হলেও ওই পাম্প হাউসে আসেনা পানি।
কোন ধরনের পরিকল্পনা ও সমীক্ষা ছাড়াই মোটা অংকের অর্থ খরচ করে ওই পাম্প হাউসটি নির্মাণ করা হলেও সেটি জনগণের কোন কাজে আসেনি। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) বাঁধ এলাকার নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পে দুই দফায় সর্বমোট ১৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও এখনো পানিবন্দী অবস্থাতেই থাকতে হচ্ছে ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে ফতুল্লার ডিআইটি মাঠ সংলগ্ন অচল পাম্প হাউসটি পরিদর্শন শেষে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। এসময় তার সঙ্গে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাফর সাদিকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
পাম্প হাউসটির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ডিএনডি অভ্যন্তরের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে পাম্প হাউসটি নির্মাণ করা হলেও এটির সঙ্গে যে সংযোগ খাল রয়েছে সেটির তুলনায় এটি অনেক উচু। এছাড়াও যেসব এলাকায় বর্তমানে জলাবদ্ধতা সেসব এলাকাগুলো অত্যন্ত নিচু।
এছাড়াও সংযোগ খালের বিভিন্ন স্থানে ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি এদিক দিয়ে আসেনা। যে কারণে এই পাম্প হাউসটি দিয়ে কোন ধরনের পানি নিস্কাশন হয়না। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে অচল অবস্থায় পড়ে থাকতে থাকতে পাম্পগুলো বিকল হয়ে গেছে।
এসময় জেলা প্রশাসক ক্ষোভ প্রকাশ করেন, যারা এই পাম্প হাউসটি নির্মাণ করেছে তারা কি কোন ধরনের সার্ভে করেন নাই। যেহেতু নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয় সেহেতু পাম্প হাউসটি সেভাবেই নির্মাণ করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেটা করা হয়নি।
এছাড়াও পাম্প হাউসে যদি পানিই না আসে তাহলে এখানে পাম্প হাউস করে কি লাভ হয়েছে। তিনি এসব বিষয় নিয়ে পাম্প হাউসে থাকা অবস্থাতেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং এ বিষয়ে কি করণীয় সে বিষয়ে আগামীতে সেমিনার সহ নানা পদক্ষেপ নিবেন বলে স্থানীয়দের জানান।