![জাতীয় মহিলা সংস্থা নারায়ণগঞ্জ জেলার মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা সভা জাতীয় মহিলা সংস্থা নারায়ণগঞ্জ জেলার মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা সভা](https://www.narayanganjtimes.com/media/imgAll/2021May/10-2303282228.jpg)
জাতীয় মহিলা সংস্থা নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে জামতলা জাতীয় মহিলা সংস্থা, নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় মহিলা সংস্থা নারায়ণগঞ্জ জেলা কর্মকর্তা লায়লা আরজুমান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ কর্মাস কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শিরিন বেগম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. শিরিন বলেন, এক সাগরের রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা আমরা তোমাদের ভুলবো না। তুমি জন্মেছ বলে জন্মেছে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ। এক সময় আমরা বাঙালিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলাম। সে সময় বঙ্গবন্ধুকে প্রধানমন্ত্রীত্ব দিতে চেয়েছে কিন্তু তিনি না করে দিয়েছেন।
সেসময় চাষাড়া বালুর মাঠে শামসুজ্জোহা সাহেবের একটি সমাবেশ বক্তব্য আমাকে দিতে বলেন আমি বলি না পারব না শামসুজ্জোহা সাহেব আমাকে সাহস জুগিয়েছেন।
তিনি আরোও বলেন, বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের এটাই আমাদের স্বাধীনতার সূত্রপাত হয়েছে। ৭ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমিও ছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ১৮ মিনিটে সেই ভাষণে সেই সময় লক্ষ লক্ষ মানুষ হয়েছে।
২৫ মার্চ বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস যাকে বলে কাল রাত্রিতে পরিকল্পনা করে অনেক বুদ্ধিজীবী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের হত্যা করল।
সেইসময় বাইতুল আমান এর সামনে মিলিটারিরা গুলি করছে। তখন আমি ইয়াং আনছিলাম। আমাদের খাওয়া দাওয়া সব বন্ধ হয়ে গোল। তখন রাওয়াল পিন্ডি হতে বঙ্গবন্ধুকে বলেছিল আমাদের কথা না শুনলে তোমাকে মেরে ফেলব।
বঙ্গবন্ধুর বলেছেন আমরা মুসলমান কোন কিছুতেই ভয় পাইনা। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণে অনেকেই মুক্তিবাহিনীতে অংশগ্রহণ করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করে। বঙ্গবন্ধুকে বলা হলো এত নারী হত্যা-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এ সন্তানদের পিত্রি পরিচয় কি হবে। বঙ্গবন্ধু বললেন তাদের পিতার নাম হবে বঙ্গবন্ধু ঠিকানা হবে ধানমন্ডি ৩২ নং বাড়ি।
তিনি আরও বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে দুর্বৃত্তরা মেরে ফেলে। সেই সময়ে আমাদের প্রয়াত জননেতা নাসিম ওসমান বর যাত্রী নিয়ে বাসর ঘরে নববধূকে রেখে ডানমন্ডি ৩২ নং বাড়িতে চলে যায়।
আমাদের বিশ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে ও ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময় আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। তাই সেই বীর শহীদদের আমরা বাঙালীরা কখনও ভুলতে পারব না।
জেলা ভিত্তিক কমিউনিকেশন প্রশিক্ষন প্রকল্প (৬৪ জেলা) জে,ডি, ম,ক, প্র,প্রকল্প সহকারী প্রোগ্রামার মেহেরুন নেছা' সঞ্চলনায় আরোও উপস্থিত ছিলেন, সাবিনা আক্তার, মল্লিকা কর্মকার, মাসুমা খাতুন, রোজিনা আক্তার সহ আরোও অনেক নেতৃবৃন্দগণ।